গ্রেপ্তারকৃত রোকেয়া বেগম সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার আন্তরপর গ্রামের এরশাদ মিয়ার মেয়ে। কয়েক বছর আগেই রোকেয়ার স্বামী মারা গেছেন। বর্তমানে ৩সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার খেজুরটেক এলাকায় থেকে দিন মজুরের কাজ করতেন তিনি। নিহত ব্যক্তির নাম আনিছ মিয়া (৪৮)। তার গ্রামের বাড়িও সুনামগঞ্জের একই থানা। আনিছ দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করে দিনমজুরের কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম ও অভিযুক্ত ওই নারী দীর্ঘদীন ধরে একই এলাকায় বসবাস করে দিনমজুরের কাজ করতেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ তাদের মধ্যে তৃতীয় কোন ব্যক্তির সাথে রোকেয়ার প্রেম নিয়ে সাথে বাকবিতন্ডা চলে আসছিল। সেই ক্ষোভ থেকেই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আনিছের অন্ডকোষ চেপে ধরে রোকেয়া, সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আনিছকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে মামলার এজাহারে নিহতের স্ত্রী মমতা বেগম তুলে ধরেন, পাওনা টাকা লেনদেনর সূত্র ধরে রোকেয়ার বাসায় গেলে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে আনিছকে দরজার সাথে ধাক্কা দিলে ফ্লোরে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে সে মারা যায়।
আশুলিয়া থানার (এসআই) উপ-পরিদর্শক জোহাব আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে আসামীর সাথে কথা বলে জানতে পেরছি তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আনিছ অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহ করে রোকেয়ার সাথে ঝগড়া-বিবাদ করতো। সেদিন বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আনিছের অন্ডকোষ চেপে ধরে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।