বিনোদন ডেস্ক : কবি ও গীতিকার কিংশুক চট্টোপাধ্যায় মারা গেছেন। আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে ৪৫ বছর বয়সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সোনারপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংশুক। তার মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের সংগীতমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন যকৃতের সমস্যার ভুগছিলেন জনপ্রিয় এই গীতিকার। এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মাঝে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু গত সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিংশুকের প্রয়াণের খবরটি ফেসবুকে নিশ্চিত করেন সঙ্গীতশিল্পী সৌম্য বসু। প্রয়াত গীতিকারের একটি ছবি পোস্ট করে সৌম্য লেখেন, ‘আজ কবিতারা চুপ। আজ সকাল ছিল না, রাত্রি নেমে এল… কথা কবিতার কালো দিন… ওপারে ভালো থাকিস কিংশুক।’
সৌম্য বসু আরও জানান, বছর দশেক আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গান লেখা বন্ধ করে দেন কিংশুক। তবে ২০১৬ সালে আবার তিনি গান এবং কবিতা লিখতে শুরু করেন।
হৈমন্তী শুক্লা, শিলাজিৎ, নচিকেতা, রূপঙ্কর বাগচী, সিধুসহ একাধিক শিল্পীর জন্য গান লিখেছেন কিংশুক। সে সব গান জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ওহ লাভলি’ সিনেমায়ও গান লিখেছেন কিংশুক।
সংগীতশিল্পী রূপঙ্করের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল কিংশুকের। রূপঙ্কর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কিংশুক বয়সে আমার অনেক ছোট। যখন আধুনিক বাংলা গানের স্বর্ণযুগ ছিল, সেই ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ পর্যন্ত কিংশুকের সঙ্গে অজস্র কাজ করেছি। গান তৈরির সময় অনেক আড্ডা মেরেছি। ওর লেখা ‘ও চাঁদ তোর বান্ধবীদের সঙ্গে যাব’, ‘বউদিমণির কাগজওয়ালা’ আর ‘ও বাউল’ গানগুলো আমার অন্যতম জনপ্রিয় গান।
রূপঙ্কর আরও বলেন, কিংশুকের লেখায় আলাদা একটা রসবোধ ছিল। খুব কঠিন বিষয়কে সহজ করে লিখত। ভালো গীতিকার ও কবি তো ছিলই। মানুষও ভালো ছিল। ওর স্ত্রী ও সন্তানের কথা ভেবে খারাপ লাগছে। ওদের কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সত্যিই ভালো এক শিল্পীকে হারালাম।
কিউএনবি/আয়শা/৩০ অগাস্ট ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৪৪