আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের দূষিত পানি সাগরে ছাড়ার পর থেকে চীনে জাপানি নাগরিকদের নানা হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। জাপান মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) একে অত্যন্ত ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। একইসঙ্গে বেইজিংয়ে তাদের দূতাবাসে ইট ছুড়ে মারার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেছেন, এটি খুবই দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার পদক্ষেপ নিতে চীনা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চীনের উচিত জনগণের কাছে সঠিক তথ্য সরবরাহ করা। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়া তথ্য সরবরাহ করে অযথা মানুষের উদ্বেগ বাড়ানোর মানে হয় না।
গত সপ্তাহে টোকিও এবং জাতিসংঘ পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা নিরাপদ বলে অনুমোদন দেওয়ার পর ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের পানি সাগরে ছাড়া শুরু করে জাপান। এ ঘটনায় কোরিয়া এবং চীনে বিক্ষোভ করে বাসিন্দারা। এমনকি জাপানের সামুদ্রিক খাবার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে চীন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জাপান চীনে তার কূটনৈতিক মিশন ও স্কুলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এছাড়া টোকিও গত রবিবার চীনে বসবাসরত তার কয়েক হাজার নাগরিককে চুপচাপ থাকতে এবং জনসমক্ষে উচ্চস্বরে জাপানি ভাষায় কথা না বলতে অনুরোধ করেছে। বেইজিংয়ে জাপানি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দূতাবাসের স্টাফরা খুবই উদ্বিগ্ন। কিছু লোক আমাদের প্রবেশদ্বারে এসেছিল। এরপর সশস্ত্র পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে পাথর ছোড়ার ব্যাপারে বেইজিং কি ধরনের ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আইন অনুযায়ী চীন সর্বদা বিদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র সন্দেহ ও বিরোধিতা উপেক্ষা করে একতরফাভাবে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের দূষিত পানি সাগরে ছাড়া শুরু করেছে জাপান। এটাই বর্তমান পরিস্থিতির মূল কারণ।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:২৪