আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। এই মামলায় তাকে জামিনও দেন আদালত। তবে জামিন পেলেও এখনই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না পাঞ্জাবের অ্যাটোক কারাগারে বন্দি থাকা ইরমান।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। প্রতিবেদনে ডন জানায়, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত সরকারি গোপন নথি আইন বিশেষ আদালত— অ্যাটোক কারাগারে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে ইমরানকে কারাগারেই আটক রাখার পাশাপাশি আগামী ৩০ আগস্ট সাইফার মামলায় তাকে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সেই চিঠির অনুলিপি পেয়েছে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। এতে অ্যাটোক কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, ‘অভিযুক্ত ইমরান খান নিয়াজি, পিতা ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি, ঠিকানা জামান পার্ক লাহোর— তাকে বিচারিক রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো, যিনি ইতিমধ্যে বিভাগীয় জেলে আটক আছেন।’
মূলত গত বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে পদচ্যুত করার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ইমরান খান। সে ব্যাপারেই একটি নথি তিনি গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশ্য জনসভায় দেখিয়ে বলেন, এটা বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ। সেটা নিয়েই পরে গোপন তথ্য প্রকাশের (সাইফার) মামলা দায়ের হয় ইমরানের বিরুদ্ধে।
এদিকে তোশাখানা মামলায় রায় স্থগিতের পর মঙ্গলবারই ইমরানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায় পিটিআই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ইমরানের আইনজীবীদের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:০৩