আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের আট বছরের শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে আসামী তার শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৪ জুন ১৩ জনে সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার প্রবেশ দ্বারে আসামী সুমন জোর করে সিএনজি যোগে নাবালিকা মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ তাকে ১৪ বছরের জেল দেয়।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন জানান- এই রায়ে মধ্যে দিয়ে বুঝা যায় দেশে এখনো ন্যায়বিচার আছে। আইনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস আছে। আগামীতে এই ধরণের কেউ কোন ঘটনা ঘটানোর পূর্বে চিন্তা-ভাবনা করবেন। তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে কিনা।
কিউএনবি/অনিমা/২৯ অগাস্ট ২০২৩,/দুপুর ২:২৬