বিশ্বাস
———
আমার অনেক বান্ধবী বলে,“কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করতে নেই।” তাদের এই কথা আমি কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। কারণ, ‘কোনো পুরুষ’ কথার মধ্যে পিতা, ভাই, স্বামী এবং পুত্রসন্তানও চলে আসে।
আমি মনে করি, মেয়ে হিসেব আমাদের সামাজিক মেলামেশায় কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে এটি বিশ্বাস-অবিশ্বাসের নয়; আচার-আচরণ আর দৃষ্টিভঙ্গিগত বিষয়। সতর্ক ও সচেতন থাকলে যে-কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করা যায়। আমার শুধু জানতে হবে আমার সীমাবদ্ধতা এবং কোথায় কখন কার সঙ্গে কীভাবে কেন মিশতে হবে। এখানে বিশ্বাসের কিছু নেই, অবিশ্বাসেরও কিছু নয়। পুরো বিষয়টি আচরণগত সতর্কতা। কেউ যদি পুরুষ বলে তার পিতা, সন্তান, স্বামী বা ভাইকেও বিশ্বাস করতে না পারে তাহলে ধরে নিতে হবে তাদের সঙ্গে তার অবিশ্বাসের কোনো ঘটনা ঘটেছে। তবে, এটি ব্যতিক্রম।
আমি কোনো পুরুষকে বিশ্বাসও করি না, অবিশ্বাসও করি না। আমি সবার সঙ্গে কেবল সতর্ক থেকে সম্পর্ক অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব রেখে শালীন আচরণ করি। এখন প্রশ্ন হলো, কার সঙ্গে কেমন আচরণ করব? কার সঙ্গে আমার কেমন আচরণ হবে তা ওই ব্যক্তির আচরণের ওপর নির্ভরশীল।
আমার কাছে সব পুরুষ খারাপ নয়, যেমন সব নারীও ভালো নয়। পুরুষের মধ্যে যেমন ভালো খারাপ আছে, তেমনি ভালো খারাপ আছে নারীর মধ্যেও।
নারীপুরুষ নিয়ে জগৎ। যে মহিলা বলে, পৃথিবীতে কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করতে নেই, করা যায় না। তাহলে নিশ্চিত বলতে পারি, তার জন্য পৃথিবীর প্রতিটি সেকেন্ড নরকযন্ত্রণার অসহনীয় প্রহর।
লেখিকাঃ চয়নিকা জাহান চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। জীবনের খন্ডচিত্র খুব স্বল্প কোথায় ফুটিয়ে তুলেন। জীবনঘনিষ্ঠ তাঁর লেখাগুলো পাঠক হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আজকের লেখাটি তাঁর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহিত।
কিউএনবি/নাহিদা। ২৮.০৮.২০২৩/ রাত ১০.২৭