সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা ঢলের অর্ধযুগ: দেশে ফেরার আকুতি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩০৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : ছয় বছর আগে ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিচার ও নিজ দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে সমাবেশ করছে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা। নিজ নিজ উদ্যোগে উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে এ সমাবেশের আয়োজন করে তারা।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বাস্তুচ্যুত হওয়ার অর্ধযুগ পূর্তির এই দিনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে সকল বয়সী রোহিঙ্গা জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশ ও দাবি নিয়ে তারা অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণাও চালাচ্ছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সংশ্লিষ্টরাও তাদের এ দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করছেন। সকালে উখিয়া-টেকনাফের একাধিক ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে পৃথক সমাবেশে যোগ দিতে থাকে রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি ও প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ নানা দাবি উত্থাপন করা হয় সমাবেশে।

IMG-20230825-WA0038বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা সমাবেশে যোগ দেয়। ছবি: ইত্তেফাক

এ সময় ইংরেজি ভাষায় একটি লিফলেট বিলি করা হয়। এতে উল্লেখ রয়েছে-আজ যখন আমরা রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবসের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী স্মরণে জড়ো হয়েছি, তখন আমাদের সেই ট্র্যাজেডিরক্ষণগুলো খুব বেশি তাড়িত করে চলেছে। এই দিনটি রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ ও অকল্পনীয় নৃশংসতার বেদনা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা বাংলাদেশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, এমন কঠিন সময়ে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের আবেদন, সবার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি ব্যাপক সমাধান করুন। কার্যকর পদক্ষেপের সময় এখন।

রোহিঙ্গা নেতা ডা. জুবায়ের বলেন, সম্মানজনক প্রক্রিয়ায় আমরা নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই। আমাদের আশা সমাবেশে উত্থাপিত রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাবে।

টেকনাফের মুচনি ক্যাম্পের মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের মূল দাবি সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরতে চাই। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্র‍য় দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, আমরা কৃতজ্ঞ।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে নিজ দেশে বাড়ি ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। 

ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত এপিবিএন অধিনায়করা জানান, ক্যাম্প এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও সবদিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।

২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে একটি মহাসমাবেশ হয়। কিন্তু ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তের গুলি নিহত হন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন স্বপ্ন দেখানো নেতা মুহিবুল্লাহ।

IMG-20230825-WA0047ছবি: ইত্তেফাক

২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে নতুন করে পালিয়ে আসে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। সরকারি হিসেবে এদের বর্তমান সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদেরকে উখিয়ার টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়।

কিউএনবি/আয়শা/২৫ অগাস্ট ২০২৩,/দুপুর ১২:৩৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit