লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে আয়ুর্বেদে গাছ-গাছালির ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে নিম গাছ অন্যতম। পাতা, বাকল থেকে শুরু করে ফল, নিম গাছের প্রতিটি অংশ ঔষধি গুণ সম্পন্ন। অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে ভরপুর নিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী।
হজম ভালো করে
নিম পাতা হজমের সমস্যা দূর করে। নিমের প্রভাব শীতল। তাই এটি অ্যাসিডিটি এবং হজমের উন্নতিতে খুবই কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। হজমের সমস্যা দূর করতেও নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমের শীতল প্রভাব রয়েছে, তাই এটি অম্লতা, অম্বল এবং হজমের উন্নতিতে খুব কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। নিম পাতা পাচনতন্ত্র থেকে ক্ষতিকারক টক্সিনকে বের করে দেয়।
শরীর ডিটক্সিফাই করে
নিমে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টি পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিও থাকে। নিমের ব্যবহার শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বাড়ায়
নিয়মিত নিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নিমের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যগুলো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। সংক্রমণ ঘটায় এমন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। পাশাপাশি ভাইরাসজনিত সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। যেকোনো ঋতুতেই এই গাছের পাতা খেতে পারেন। এগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করে
যেকোনো ধরনের আঘাত বা ক্ষত সারাতে নিমের রয়েছে প্রচুর গুণ। নিমের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় যদি আপনি ফোঁড়া ও পিম্পলের সমস্যা এড়াতে চান, তাহলে নিম পাতা, নিমের ছাল এবং ফল সমান পরিমাণে পিষে নিন। এর পর এই পেস্টটি ত্বকে লাগান। এতে করে ফোড়া ও ক্ষত কয়েক দিনেই দ্রুত সেরে যাবে। এই পেস্টটি প্রতিদিন লাগাতে হবে।
ডায়াবেটিস
নিমের স্বাদ তিতা। তিতা যেকোনো জিনিসই ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে বিশেষ উপকারী, তা সে নিম হোক কিংবা উস্তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত খালি পেটে নিম পাতা খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে করে সুগার লেভেলও দ্রুত কমে যেতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/১২ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৮:১২