রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

ক্বেরাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেলেন ল্যাপটপ, ট্যাব

বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ।    
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৪৭ Time View
বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ক্বেরাত, হামদ নাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন ল্যাপটপ, ট্যাব, স্পিকারসহ নানা পুরস্কার। উপজেলার উলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্টজনদের উদ্যোগে হওয়া চুড়ান্ত প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা এসব পুরস্কার লাভ করেন। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ পৌর এলাকার বড় বাজার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় পুরো উপজেলা থেকে বাছাইকৃত ৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত থাকায় চুড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী মণি দাস গজলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতে দেকা যায়। 

ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় এাহমুদুল হাসান রাফি ১ম, আব্দুল্লাহ বিন কাদির দ্বিতীয়, ইকরাম হোসাইন তৃতীয় স্থান লাভ করেন। হামদ, নাত ও গজলে যোবায়ের আহমেদ ১ম, মণি দাস দ্বিতীয় ও ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। ১ম স্থান অধিকারিকে ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারিকে ট্যাব ও তৃতীয় স্থান অধিকারিকে স্পিকার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহনকারি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক ও দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মো. আসাদুজ্জামান।

প্রধান অতিথি ছিলেন, মহিউস সুন্নাহ মাদরাসার প্রিন্সিপাল আসাদ আল হাবিব। প্রতিযোগিতা কমিটির সদস্য সচিব মো. বিল্লাহ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, সমাজ সেবক মো. মোসলেহ উদ্দিন ভ‚ঁইয়া, আখাউড়া কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি কবির আহমেদ, কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ^জিৎ পাল বাবু, দ্য ডেইলি বাংলাদেশের আখাউড়া প্রতিনিধি কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন প্রমুখ। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি সাইফুজ্জামান, হাফেজ হামিদুল হক, হাফেজ এমদাদ উল্লাহ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি দুই সাংবাদিকসহ অন্যান্য অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘ইসলাম যে সমতায় বিশ্বাস করে এটারই প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে পুরস্কার নিতে পেরেছে।’ আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব শেষ হয়। করোনার কারণে চুড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল আয়োজন করতে পেরেছি। প্রতি বছরই এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে আমাদের।’

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৩ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৯:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit