মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন

মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু নিবিরকে হত্যার পর লাশ গুম, হত্যাকারীদের দেখানোমতে লাশ উদ্ধার

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯৭ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : মুক্তিপণ না পেয়ে হৃদয় খান নিবির (১১) নামের এক শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এই শিক্ষার্থীকে হত্যার পরে এমকেবি নামে একটি ইট ভাটার পেছনে কীর্তিনাশা নদীর পাড়ে বালুচাপা দিয়ে লাশ গুম করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ৪ অপহরণকারীদের আটক করেছে পুলিশ। অপহরণকারীদের দেয়া তথ্যানুযায়ী আজ (১ আগস্ট) ভোর ৬ টার সময় নিবিরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। দুপুর ১২টার সময় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়ছে।

নিহত নিবির খান শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মনির হোসেন খানের ছেলে। সে শরীয়তপুর জেলা শহরের শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। প্রেস ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, ৩ দিন পূর্বে থেকেই অপহরণকারীরা পরিকল্পনা করে নিবিরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের। পরিকল্পনা অনুযায়ী অফহরণকারীরা কৌশলে নিবিরকে অপহর করে। পরে মেসার্স খান ব্রিকস (এমকেবি) ফিল্ডের পেছনে নদীর পাড়ে আলী হোসেন খানের বাড়ির নির্জণ স্থানে অপহরণকারীরা নিবিরকে নিয়ে যায়। নিবির ডাক-চিৎকার করলে অপহরণকারীরা নিবিরের হাত-পা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ বালুচাপা দিয়ে রাখে।

স্থানীয় সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে প্রথমে সিয়াম কে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সাকিল গাজী (১৮), তুহিন (১৫) ও শাওন কে (১৮) গ্রেফতার করে। তাদের দেখানো মতে নিবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নিবিড়ের দাদা মোমিন খান বলেন, অপহরণকারীদের মধ্যে সিয়ামের পরিবার দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বাড়ীতে ভাড়া থাকে। আমাদের সাথে কোন বিরোধও ছিলনা। অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। তারা কেন এরকম নির্মম হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটালো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি আমার নাতির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।

পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম প্রেস ব্রিফিং থেকে বলেন, বিভিন্ন সিরিয়াল ও ক্রাই বিষয়ক মুভি দেখে এমন পরিকল্পনা করে অপহরণকারীরা। সেই মতেই তিন দিন পূর্বে থেকেই কার্যক্রম চালিয়ে সিয়ামকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করে। নিবিরের দাদা মমিন আলী খান থানায় অভিযোগ করে তার নাতীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করছে অপহরণকারীরা। তথন থেকেই অভিযান শুরু হয়। খুব দ্রুত সময়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এর পূর্বেই তারা নিবিরকে মেরে ফেলে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০১ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৩:৩২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit