ডেস্ক নিউজ : ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহজ ধর্ম। এতে কঠোরতা করা নিষিদ্ধ। আমাদের নবীজি (সা.) কোনো বিষয়ে কঠোরতা পছন্দ করতেন না। তাই তিনি সাহাবায়ে কেরামকে কোমলতা করার নির্দেশ দিতেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু মুসা আল-আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) মুআজ ও আবু মুসা (রা.)-কে ইয়েমেনে প্রেরণ করেন এবং এই মর্মে আদেশ দেন, ‘মানুষের সঙ্গে কোমল আচরণ করবে, কঠোরতা করবে না, তাদের সুখবর দেবে, ঘৃণা সৃষ্টি করবে না। পরস্পর একমত হবে, মতভেদ করবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৩০৩৮)
এভাবে ফজরের নামাজেও বেশি বড় সুরা পড়ার কারণে নবীজি (সা.) সাহাবায়ে কেরামের ওপর খুব রাগান্বিত হয়েছিলেন এবং তাঁদের সতর্ক করেছিলেন। আবু মাসউদ আনসারি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আল্লাহর শপথ! আমি অমুক ব্যক্তির কারণে ফজরের জামাতে হাজির হই না। কেননা, তিনি আমাদের নিয়ে দীর্ঘ নামাজ আদায় করেন। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে কোনো ওয়াজে সে দিনের মতো বেশি রাগান্বিত হতে আর দেখিনি। এরপর তিনি বলেন, হে লোক সকল, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বিতৃষ্ণার সৃষ্টিকারী আছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদের নিয়ে নামাজ আদায় করবে, সে যেন সংক্ষিপ্ত করে। কারণ তাদের মধ্যে আছে বয়স্ক, দুর্বল ও কর্মব্যস্ত মানুষ। (বুখারি, হাদিস : ৭১৫৯)
এ জন্য আমাদের উচিত, দ্বিনি বিষয়ে এমন কোনো কঠোরতা না করা, যা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়। মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনেও নিজের ওপর কঠোরতা চাপিয়ে নেওয়া ঠিক নয়; বরং সহজ কোনো জায়েজ পন্থা থাকলে সেটাই অবলম্বন করা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই দ্বিন সহজ। দ্বিন নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করে দ্বিন তার ওপর জয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং (মধ্যপন্থার) কাছে থাকো, আশান্বিত থাকো এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতসহ) সাহায্য চাও।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৯)
মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ জুলাই ২০২৩,/রাত ৮:৫৮