ডেস্ক নিউজ : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ১নং সলিড স্পারের উজানে যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ধস দেখা দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে নদী তীরে বালুর স্তূপ করে রাখায় এ ধস দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে ভোর থেকে ভাঙন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ নিক্ষেপ শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ রাতে নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস শুরু হলে পাশেই নোঙর করা জেলেদের প্রায় ৩০টি নৌকা মাটিচাপা পড়ে নদীতে তলিয়ে ও ভেসে যায়। এ সময় বালু ব্যবসায়ীদের স্তূপ করে রাখা বালুর একটি বড় অংশও নদীগর্ভে চলে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী নদী তীরের ১০ ফুটের মধ্যে বালু স্তূপ করে রেখেছেন। ২০ জুন ওই বালুর পয়েন্ট অপসারণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বালুর স্তূপ সরানো হয়নি। এ বালুর স্তূপের কারণেই মূলত ধস দেখা দিয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাজি মো. অনিক ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লবের মাধ্যমে ১নং সলিড স্পারের উত্তরে যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধের ভাঙনের খবর পাই। তখনই উপজেলা চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং পাউবোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সকাল থেকে পাউবো জিওব্যাগ নিক্ষেপ শুরু করেছে।
পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, সকাল পর্যন্ত বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। খবর পাওয়ার পর সকাল ৭টার দিকে সেখানে জিওব্যাগ নিক্ষেপ শুরু করা হয়েছে। এখন ভাঙন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরও জানান, বালু ব্যবসায়ীদের বালু স্তূপ করে রাখার কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধির পাশাপাশি তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/১২ জুলাই ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৪৫