এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে যান চলাচল করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের মুলিখালী বটতলার নাটনার খালের উপরের ঝুঁকিপূণ ব্রীজটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে পণ্যবাহী যানবাহনসহ হাজার-হাজার পথচারী। ব্রীজটি বহুদিনের পুরাতন হওয়ায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ফাঁটলও দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়লে চৌগাছা-ঝিকরগাছার এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
পণ্যবাহী ট্রাক চালক শাহ-আলম বলেন, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা দুটি উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়কের নাটনার খালের উপরের ব্রীজটি ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ। ওই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত পণ্য ও যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহনসহ দুটি উপজেলার হাজারো মানুষ চলাচল করেন। চৌগাছা-ঝিকরগাছার সাথে যোগাযোগের বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ এ ব্রীজ দিয়ে চলাচল করছেন যানবাহনসহ পথচারীরা। দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রীজটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ন হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচলকারী ভ্যান চালক ইয়াকুব হোসেন বলেন, পেটের দায়ে জীবরেন ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রীজের উপর দিয়ে যাত্রী পারাপার করে থাকি। ব্রীজটি অনেক পুরাতন হওয়ায় বিভিন্ন অংশে ফাঁটল ও সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেখলে মনে হয় কর্তৃপক্ষের ব্রীজটির দিকে কোনো নজরদারিই নেই। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা ও পথচারীরা এ বিষয়ে নানা প্রশ্নও তুলেছেন। শনিবার (৮ জুলাই) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এলজিইডি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা জন্য নাটনার খালের উপর এ ব্রীজটি নির্মান করেন। দীর্ঘ দিন নির্মিত এ ব্রীজের বিভিন্ন অংশে ফাঁটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে এ উপর দিয়ে চলাচলের জন্য ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। হালকা-ভারি কোনো যান উঠলেই ব্রীজটি কাঁপতে থাকে। বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্রিজটির অবস্থা জরাজীর্ণ। ব্রীজটির আস্তরণ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। ঝুঁকিপূর্ন হলেও বাধ্য হয়ে যানবাহনসহ দুটি উপজেলার হাজারো মানুষ নিয়মিত চলাচল করছেন। এ সময় চোখে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলছে যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক ও নসিমন-করিমন, সিএনজি,ভ্যান,আলমসাধুসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহন। স্থানীয়রা জানান, ব্রীজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন শত-শত যানবাহন চলাচলের কারণেই ব্রিজটির বিভিন্ন স্থানের ফাঁটল গুলো বড় হচ্ছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। তাদের দাবী অতিদ্রুতই ব্রীজটি পুনর্নির্মাণের।
চৌগাছা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও লস্কারপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলী জানান, কয়েক বছর আগেই ব্রিজটির বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমার আশংকা যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। চৌগাছা-ঝিকরগাছা দুটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাকতে দ্রুতই ব্রীজটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে চৌগাছার উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহমেদ রিয়াসাত জানান, বিষয়টি আমার জানার বাইরে আপনার নিকট থেকে শুনলাম। সরজমিনে গিয়ে ব্রীজের কি অবস্থা দেখব। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নিব। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নাটনার খাল খননের কাজ চলছে এইজন্য হইতো এমনটা হতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ জুলাই ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:২৮