ডেস্ক নিউজ : নতুন অর্থবছরের শুরুতেই চমক দেখিয়েছিলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেড়েছিলো। পাশাপাশি বিদেশি ঋণের ছাড় ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফেরায় ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রিজার্ভ। তবে চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করতে হবে ১ দশমিক শূণ্য ৯ বিলিয়ন ডলার। এতে রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়নে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। চলতি সপ্তাহে (৫ জুলাই সম্ভাব্য) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করতে হবে ১ দশমিক শূণ্য ৯ বিলিয়ন ডলার। এতে রিজার্ভ নেমে আসবে ৩০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে।
সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভে চাপ অব্যহত রয়েছে। এদিকে, আইএমএফের শর্ত মেনে ডলারের বাজারভিত্তিক দর কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাড়বে আমদানি ব্যয়। এর ফলে প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে। দীর্ঘদিনের ডলার সংকট ও টাকার অব্যহত অবমূল্যায়ণ বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। তাহলে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এই রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। তবে আইএমএফের হিসেবে ব্যবহারযোগ্য যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয়ও মেটানো যাবে না। যদিও সংস্থাটির ঋণ বিতরণের শর্তে উল্লেখ করা আছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলার রিজার্ভে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ কমপক্ষে ২৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে হতে হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৫ জুলাই ২০২৩,/বিকাল ৪:২১