স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার (১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও কুয়েত। যেখানে ১৪ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপের সেমির মঞ্চে খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে র্যাংকিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে কুয়েত। মধ্যপ্রাচ্যের এই দলটি চলতি বছরের জানুয়ারির পরে কোনো ম্যাচেই হারেনি। এবারের সাফেও রুই বেন্তোর শিষ্যদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান-নেপালের মতো দলগুলো।
২০২২ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলে দশটিতেই জয় পেয়েছে কুয়েত। ৩ ড্রয়ের বিপক্ষে ৬ হার, ১৮ গোল হজমের বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে ২৯ বার। অন্যদিকে এ সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে ১৫ ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে মাত্র ৫টিতে। আর ৭টিতে হার এবং ৩টিতে ড্র। এ সময়ে বাংলাদেশ ১৯ গোল হজমের বিপরীতে মাত্র ১৩টি গোল দিতে পেরেছে।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের অভিষেকের পরে ১৯৭৩ সালে কুয়েতের বিপক্ষে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের। মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপের সেই ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশে। এরপরে সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। সিউল এশিয়ান গেমসের সেই ম্যাচেও বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। ফলে মুখোমুখি দেখায় এখন পর্যন্ত জয় নেই বাংলাদেশের।
তবে এগুলো পুরনো পরিসংখ্যান। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সে ম্যাচটি নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়। কুয়েতের ধারাবাহিক পারফরমেন্সের পরেও তাদের কিছু দুর্বলতাও টের পাওয়া গেছে বেশকিছু ম্যাচে। গত দেড় বছরে মাল্টা-ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেই হারিয়েছে বেন্তোর দল।
সাফের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও বেশ কয়েকবার ছন্দপতন ঘটেছে কুয়েতের রক্ষণভাগের। ভারতের বিপক্ষে তো ভাগ্যের জোরে হার এড়িয়েছে অতিথিরা। সেমিফাইনালে এই ম্যাচগুলোই আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে টিম বাংলাদেশের।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ জুন ২০২৩,/সকাল ১১:০৮