ডেস্ক নিউজ : কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মত্যাগের এক অনন্য উপমা। কোরবানির দিনসমূহে প্রত্যেক সাহেবে নেসাবের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির মাধ্যমে পার্থিব ও পরকালীন প্রভূত কল্যাণ অর্জিত হয়। সেই সঙ্গে আল্লাহভীতি অর্জন, অসহায়-দরিদ্রদের সহায়তা ও আত্মত্যাগ প্রকাশের সুযোগ আসে কোরবানির মৌসুমে।
ইসলামের অন্য ইবাদতগুলোর মতো কোরবানি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ ও মাসয়ালা জেনে নেওয়া কোরবানিদাতার একান্ত কর্তব্য। অন্যথা কোরবানির প্রকৃত পুরস্কার-প্রাপ্তি ও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
শরিকি কোরবানির বিধান
একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারবে। এমন একটি পশু দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করলে কারোটাই সহিহ হবে না। আর উট, গরু ও মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের অধিক হলে কারও কোরবানি সহিহ হবে না। সহিহ মুসলিম : ১৩১৮
কোরবানির পশুতে প্রত্যেক অংশীদারের অংশ সমান হতে হবে। কারও অংশ অন্যের অংশ থেকে কম হতে পারবে না। যেমন কারও আধা ভাগ, কারও দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানি শুদ্ধ হবে না। ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৪/২০৭
কোরবানিতে হারাম টাকা ব্যবহার করা নাজায়েজ। ওই ধরনের টাকা দ্বারা কৃত কোরবানি সহিহ হয় না এবং এর দ্বারা অন্য শরিকদের কোরবানিও বাতিল হয়ে যায়। আহসানুল ফাতোয়া : ৭/৫০৩
কেউ যদি শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে, তাহলে তার কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে অন্যদের কোরবানিও আদায় হবে না। ফাতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/৩০৪
কিউএনবি/অনিমা/২৮ জুন ২০২৩,/দুপুর ২:১৮