বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

মোকাব্বির খান দায়িত্ব নিলে পদ ছাড়তে রাজি বাণিজ্যমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩
  • ৭৫ Time View

ডেস্ক নিউজ : জমে উঠেছে সংসদ অধিবেশন। দ্রব্যমূল্য নিয়ে একাধিক সংসদ সদস্যের বক্তব্য ঘিরে সংসদ আজ প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। আলোচনার সূত্রপাত ঘটান গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। 

তিনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পদত্যাগ দাবি করেন। এর জবাব দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘এখানে একজন তো আমাকে পদত্যাগ করতে বললেন। খুব ভালো কথা বলছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব উনি (মোকাব্বির) দায়িত্ব নিলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে উনারে দায়িত্বটা দিতে পারেন। কোনো সমস্যা নেই আমার।’

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-’২৪ অর্থবছরের বাজেটের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র ১০ জন সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করেন। তবে, কণ্ঠভোটে তাদের প্রস্তাব নাকচ হয় এবং মন্ত্রীর প্রস্তাবিত অর্থ মঞ্জুর হয়।

ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় বাণিজ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা হয় সংসদ সদস্যদের। তারা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীর ব্যর্থতার সমালোচনা করেন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ফ্লোর নিয়ে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দেন।  
দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে টিপু মুনশি বলেন, কথাটা হলো দাম বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বারবার বলছেন মানুষ কষ্টে আছেন। মানুষকে বলছেন সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য। আজকে আমরা কি আমাদের জন্য এই অবস্থায় এসেছি? বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। সেটা কিন্তু আমাদের হিসাবের মধ্যে আনতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক কথা আসছে। বলা যখন শুরু হয় ডানে-বামে সব চলে আসে। ডিম, সেটার খবর তো আমি জানি না। ডিমের বাড়া বা কমা যে মন্ত্রণালয় আছে তারা ঠিক করে দেয়।’

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের কথা বলা হয়েছে। আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করেছিলাম কৃষকেরা যেন এমন একটি দাম পায় তারা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়। পেঁয়াজে আমাদের বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন ঘাটতি রয়েছে। কৃষকেরা বেটার প্রাইজ হলে উৎপাদনের দিকে মনোযোগী হবে। আমাদের এই পদক্ষেপে ঘাটতি কিন্তু অর্ধেকে নেমে আসছে। তবে এটাও ঠিক কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা হওয়া উচিত নয়। এ জন্য আমরা আমদানির ব্যবস্থা করেছি। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দিতে আমরা চাইছিলাম না আমদানি করতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আমদানি করেছি। ভারতের আমদানি পেঁয়াজের কেজি এখন ৪০-৪৫ টাকা। আজকে আমাদের দেশিটা ৬৫ টাকা। এটা আরও কমা উচিত বলে মনে করি। আমরা চেষ্টা করছি। ১০-১৫ দিনের মধ্যে এটা ৫০ টাকার মধ্যে চলে আসছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবকিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করে না। তরপরও দায় আমি নিয়ে বলছি আমরা সবৈবভাবে চেষ্টা করছি কী করা যায়।

কিউএনবি/অনিমা/২৬ জুন ২০২৩,/বিকাল ৩:১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit