মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বাইডেন-মোদির বৈঠকে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩
  • ৭৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সফরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর এবং খনিজসম্পদ নিয়ে বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা সই করা হয়। 

বাইডেন বলেন, আমেরিকা ও ভারতের ‘ডিএনএ’র’ মধ্যে গণতন্ত্র রয়েছে। তিনি ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে ভিন্ন মতাবলম্বী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়নের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো যেসব অভিযোগ তুলেছে সেটি নিয়ে মি. বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়। ‘ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রর সম্পর্ক যে জায়গায় অবস্থান করছে, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি সে রকম নয়। এর মৌলিক কারণ হচ্ছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারষ্পরিক শ্রদ্ধা হচ্ছে দুই দেশই গণতান্ত্রিক।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ডিনারের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, দুটো মহান জাতি, দুটো মহান বন্ধু এবং দুটো বড় শক্তি, চিয়ার্স। জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আপনি মৃদুভাষী, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি বেশ দৃঢ়। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। মোদি তার ৯ বছরের শাসনামলে কখনই এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেননি। সংবাদ সম্মেলনে একজন ভারতীয় এবং একজন আমেরিকান সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন। এই দুটো প্রশ্নই আগে থেকে নির্ধারিত ছিল।

সেখানে ভারতের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মোদি ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি খারিজ করে দেন। যৌথ বিবৃতিতে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনভিত্তিক নীতির মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় মার্কিন-ভারত অংশীদারত্ব গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। জাতিসংঘের রীতিনীতি, আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে বর্তমান যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, সেটিকে সম্মান জানানোর প্রতি জোর দিয়েছে দুই পক্ষই।

মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে জঙ্গি হামলার ক্ষেত্র হিসেবে যেন ব্যবহার না করা হয় সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিভাবে যুদ্ধের পরিণামে বিশ্ব যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আলোচনাও উঠে এসেছে।

অবনতি ঘটতে থাকা মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটিতে নির্বিচারে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিয়ে গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আল-কায়েদা, আইসিস, লস্কর-এ-তাইয়েবার মতো জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জোর দিয়েছেন। এ ছাড়া আফগানিস্তানকে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং স্থিতিশীল করার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সামরিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি সামরিক জোট কোয়াডকে আরও কার্যকরী করে গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছে দুপক্ষই।

সামরিক
প্রতিরক্ষাবিষয়ক দুই দেশের অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবারের বৈঠকে। সামরিক পর্যায়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা পরমাণু বিদ্যা সংযোজনের পাশাপাশি ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করতে আমেরিকার সহযোগিতার বিষয়টিও উঠে এসেছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩ জুন ২০২৩,/দুপুর ১২:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit