আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শত শত শিশু হত্যা ও পঙ্গু করার অপরাধে রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে “লজ্জার তালিকায়” রেখেছে জাতিসংঘ। কিন্তু গত বছর ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করার ঘটনায় ইসরায়েলকে জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত করতে বারবার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ফিলিস্তিনি শিশুদের ‘অপমান’ করেছেন বলে বিভিন্নভাবে সমালোচিত হচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের লজ্জা তালিকা থেকে ইসরায়েলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে একটি “বড় ভুল” বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর।
বৃহস্পতিবার শিশুদের প্রতি আচরণের বিষয়ে জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনে গুতেরেস জানান, যে তিনি গত বছর ইউক্রেনে শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে আতঙ্কিত।“
প্রতিবেদনে বরাতে কিছু সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর ইউক্রেনে ৪৭৭ জন শিশু নিহত হয় যাদের মধ্যে ১৩৬ জন সরাসরি রাশিয়ান বাহিনী ও তাদের অনুমোদিত গোষ্ঠীর কারণে মারা গিয়েছিল। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ৮০ জন শিশুকে হত্যা করেছে। অবশিষ্ট ভুক্তভোগী শিশুদের মধ্যে যুদ্ধরত অবস্থায় মারা যাওয়ায়, দুই পক্ষের কাউকেই নিশ্চিতভাবে দোষারোপ করা যায় না।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ শিশু বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৪২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত ও ৯৩৩ জন আহত হয়েছে। ২০২১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী ৭৮ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করে। ইসরায়েল কখনই শিশু হত্যার জন্য জাতিসংঘের লজ্জার তালিকায় ছিল না।
গুতেরেস বলেন, আগের প্রতিবেদনের তুলনায় গত বছর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলাসহ নিহত শিশুদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তবে ইসরায়েলকে লজ্জার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জাতিসংঘ প্রধানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সংস্থাটি।
কিউএনবি/অনিমা/২৩ জুন ২০২৩,/সকাল ১১:১৬