বিনোদন ডেস্ক : ২০০৯ সালে লন্ডনে জনপ্রিয় র্যাপার তৌফিক আহমেদের সঙ্গে ‘রাজত্ব’ ব্যান্ডের কাজ শুরু করেছিলেন ফয়সাল রদ্দি। পরের বছরই ব্রিটিশ মিউজিশিয়ান গ্যারেথ রেডফার্নের কম্পোজিশনে নিজের প্রথম অ্যালবামের কাজ শেষ করেন তিনি।
এরপর ২০১৪ সালে তার ‘দাসত্ব’ অ্যালবাম প্রকাশ্যে আসে। শ্রোতারা তার তৈরি গান যেমন পছন্দ করেছেন, তেমনি তার পরিচালনায় ‘পাঠশালা’ সিনেমাটিও বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতি নিয়ে ‘পাঠশালা’ ঘুরে বেড়িয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। তার নতুন সিনেমা ‘যাযাবর’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ফয়সাল রদ্দি বলেন, ‘পাঠশালা’ মুক্তির প্রায় অর্ধদশক পেরিয়ে যাওয়ার পর যখন চলচ্চিত্রটি বঙ্গ-এর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হয়, তখন অসংখ্য দর্শকের অ্যাপরিসিয়েশন ও চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু নিয়ে দর্শকদের দারুণ প্রতিক্রিয়া দেখে খুব আনন্দ হয়। আমি দশর্কদের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তারা মানিককে ভালোবেসেছে। এই সমাজের মানিকরা জিতে যাক।’
এবার সিনেমার গল্প থেকে আবারও গানে ফিরে আসা যাক। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য করা ‘আমি বাংলাদেশ’, ‘বাঘ আইলো রে’, ‘গর্জন’ গানগুলো ফয়সাল রদ্দিকে লাখো শ্রোতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনে ফয়সাল রদ্দির গান তরুণদের ভীষণ আন্দোলিত করে। এ ছাড়াও তার কণ্ঠে অনম বিশ্বাসের লেখা ও অমিতাভ রেজা নির্মিত গ্রামীণফোনের ‘নির্ঘুম চোখ জানালায়’ জিঙ্গেল ক্যাম্পেইনটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
পাশাপাশি ‘পায়ের নিচে মাটি নাই’ ও ‘নদী’ তার অন্যতম জনপ্রিয় র্যাপ গান। আপাতত নিজের নতুন সলো র্যাপ অ্যালবাম ‘সাধু’র কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফয়সাল রদ্দি। প্রসঙ্গত, শুধু চিত্ত জাগানিয়া গান নয়, ফয়সাল রদ্দির ব্যক্তিজীবনেও নাগরিক চেতনাবোধ ও সমাজ সচেতনতা পরিলক্ষিত হয়। ২০১৬ সাল থেকে তিনি মেইট ফাউন্ডেশনের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
কিউএনবি/আয়শা/২১ জুন ২০২৩,/রাত ৯:১২