বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ: এক ম্যাচে ৬ রেকর্ড ঢাকার ১১ স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১৩১ ৯ বলের সুপার ওভার, পাঁচ বলে ৫ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ চিকিৎসক হয়েও সুরের ভুবনে ঝংকার তুলছেন রানা প্রশাসনে রদবদল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি তাঁবেদার থেকে দেশ রক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে: রেজাউল করিম দৌলতপুরে ক্লিনিক ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসা : আটক-২ অবিশ্বাস্য থ্রোতে ভাঙল ৪৪ রানের জুটি, বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মিরাজ ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে”–কুড়িগ্রামে পথসভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ কিম বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার

পেঁয়াজে ঝাঁজ কমলেও আদায় আছে আগের মতোই

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩
  • ১৬৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : আমদানি শুরুর পর থেকে পেঁয়াজের দাম কমছে। খুচরায় ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। কেরালা জাতের আদা ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগি, ডিম ও সবজির দাম অনেকটা অপরিবর্তিত আছে।

এদিকে গত ১১ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছে। খুচরা বাজারে নতুন দামের বোতলজাত সয়াবিন না আসায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল। ক্রেতারা বলছেন, যখন কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করা হয়। অথচ দাম কমানোর ঘোষণা দিলে সেই পণ্য বাজারে কম দামে পেতে অনেক সময় লাগে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি খুচরা দোকানে আমদানি ও দেশি পেঁয়াজ প্রচুর বেচা-বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের তুলনায় আমদানি পেঁয়াজের দাম কম। এ জন্য ক্রেতারা আমদানি পেঁয়াজ বেশি কিনছেন। পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম আরো কমবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

দেশি রসুন কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ এবং আমদানি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখনো নতুন বোতলজাত সয়াবিন তেল আসেনি, পুরনো বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও আমদানি করা কেরালা জাতের আদা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি। চীনের বড় আদার সরবরাহ না থাকায় এখনো ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের পেঁয়াজ বাজারে আসার কারণে দাম ক্রেতার নাগালে চলে এসেছে। তা না হলে এখন ক্রেতাদের ১০০ টাকার বেশি দামে কিনতে হতো। এখন প্রতিদিনই বাজারে ভারতের পেঁয়াজ ঢুকছে, সামনে পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে। ঈদের আগেই আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকার নিচে চলে আসবে।

ক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের আমদানি আরো কিছুদিন আগেই শুরু করা উচিত ছিল, তাহলে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াতে পারতেন না। ভোক্তাদের ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে খেতে হতো না। এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কেনা যেত।

বাড্ডার ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী আব্দুল হাই বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় উঠেছিল। পরে গত ৫ জুন থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হওয়ায় দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় নেমেছে। ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি করছি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।’

নতুন দরের বোতলজাত সয়াবিন তেলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দাম কমার পরের দিনই আমরা কম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে অর্ডার দিয়ে রেখেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন দরের তেল আসেনি। তাই পুরনো তেল আগের দরেই বিক্রি করছি।’ আদার দামের বিষয়ে আব্দুল হাই বলেন, ‘বাজারে এখন আমদানি ও দেশি কেরালা জাতের আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। চীনের আদা দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে নেই।’

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পেঁয়াজের দাম রোজার ঈদের পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল। দেড় মাসের ব্যবধানে তা ৩০-৩৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায় উঠে যায়। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার কথা বলে এত দিন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি কৃষি মন্ত্রণালয় না দিলেও পরিস্থিতি দেখে গত ৪ জুন সায় দেয়। তার পরের দিন ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। এর প্রভাব এরই মধ্যে বাজারে পড়েছে।

রামপুরা বাজারে কথা হয় ক্রেতা নাঈম ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রামপুরা বাজারের প্রত্যেকটি দোকান ঘুরেও কোথাও নতুন দরের তেল পাওয়া যায়নি। প্রত্যেকটি দোকান আগের দরের তেল বিক্রি করছে। অথচ তেলের দাম কমিয়েছে আরো চার দিন আগে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি না করার কারণেই এই অবস্থা।’

সবজির বাজার : 

রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে গতকাল পটোল কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও কচুরমুখী ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৬ জুন ২০২৩,/বিকাল ৫:৩২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit