খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের পেঁয়াজ বাজারে আসার কারণে দাম ক্রেতার নাগালে চলে এসেছে। তা না হলে এখন ক্রেতাদের ১০০ টাকার বেশি দামে কিনতে হতো। এখন প্রতিদিনই বাজারে ভারতের পেঁয়াজ ঢুকছে, সামনে পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে। ঈদের আগেই আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকার নিচে চলে আসবে।
ক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের আমদানি আরো কিছুদিন আগেই শুরু করা উচিত ছিল, তাহলে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াতে পারতেন না। ভোক্তাদের ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে খেতে হতো না। এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কেনা যেত।
বাড্ডার ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী আব্দুল হাই বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় উঠেছিল। পরে গত ৫ জুন থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হওয়ায় দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় নেমেছে। ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি করছি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।’
নতুন দরের বোতলজাত সয়াবিন তেলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দাম কমার পরের দিনই আমরা কম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে অর্ডার দিয়ে রেখেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন দরের তেল আসেনি। তাই পুরনো তেল আগের দরেই বিক্রি করছি।’ আদার দামের বিষয়ে আব্দুল হাই বলেন, ‘বাজারে এখন আমদানি ও দেশি কেরালা জাতের আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। চীনের আদা দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে নেই।’
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পেঁয়াজের দাম রোজার ঈদের পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল। দেড় মাসের ব্যবধানে তা ৩০-৩৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায় উঠে যায়। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার কথা বলে এত দিন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি কৃষি মন্ত্রণালয় না দিলেও পরিস্থিতি দেখে গত ৪ জুন সায় দেয়। তার পরের দিন ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। এর প্রভাব এরই মধ্যে বাজারে পড়েছে।
রামপুরা বাজারে কথা হয় ক্রেতা নাঈম ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রামপুরা বাজারের প্রত্যেকটি দোকান ঘুরেও কোথাও নতুন দরের তেল পাওয়া যায়নি। প্রত্যেকটি দোকান আগের দরের তেল বিক্রি করছে। অথচ তেলের দাম কমিয়েছে আরো চার দিন আগে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি না করার কারণেই এই অবস্থা।’
সবজির বাজার :
রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে গতকাল পটোল কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও কচুরমুখী ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।