ডেস্ক নিউজ : গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নে অবস্থিত জয়নাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম থেকেই বিদ্যালয়টি শিক্ষট সংকট দিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরপর সংকট কেবল বেড়েছে কোনো সুরাহা হয়নি। তিনজন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করলেও এখন শিক্ষক মাত্র একজন।
তাকে প্রতিদিন দুই পালায় পাঁচটি শ্রেণির ক্লাস নিতে হয়। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে এই অবস্থা। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৩। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রকৃত পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা যায়, পুরো গ্রামে এটিই একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় ভবনটির কক্ষ চারটি। এর মধ্যে শ্রেণিকক্ষ তিনটি, অপর কক্ষটি ব্যবহার করা হচ্ছে অফিস কক্ষ হিসেবে।
২০১৪ সালে স্কুলটি যাত্রা শুরু করেছিল। তখন তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলত স্কুলটি। পরে একজন অবসরে গেলে দুই জনে চলতে থাকে স্কুলটি। সম্প্রতি এক নারী শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ায় স্কুলে এখন একজন শিক্ষকই ভরসা।
দায়িত্বে থাকা একমাত্র শিক্ষক আতিকুল ইসলাম জানান, কষ্ট হলেও বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে যাচ্ছি। আমাদের স্কুলে শিক্ষক দেওয়া অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।
কয়েজন শিক্ষার্থী জানান, অনেক সময় স্যার এক ক্লাসে পড়া দিয়ে পাশের অন্য ক্লাসে গিয়ে পড়া নিতে যান। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী পড়াতে ফাঁকি দেয়। ক্লাসে হইচই চলে। তারা আরও বলেন, অনেক সময় আতিক স্যার অফিসিয়াল কাজে উপজেলাতে চলে যান। তখন ম্যাডাম (চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা) একা চাপে পড়েন।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রহিজ উদ্দিন জানান, শিক্ষক সংকটে চরম কষ্টে আমরা দিন পার করছি। বছরের পর বছর ধরেই শিক্ষক সংকট চলছে। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার এ সমস্যার কথা বলেছি কিন্তু কোনো সুরাহ হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের নজরে আসছে বিষয়টি। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে একটা প্রস্তাব প্রেরণ করলে আশা করি শিক্ষক সংকটের সমাধান হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তাই তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কিউএনবি/অনিমা/১০ জুন ২০২৩,/বিকাল ৩:২৬