ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামে বুধবার দিনভর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বৃষ্টিতেই অনেক জায়গা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সকালে অফিসগামী ও কর্মস্থলগামী মানুষকে পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে। এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টি আর কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে।
বুধবারের মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে নগরীর কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির জলাবদ্ধতায় আগ্রাবাদ, অক্সিজেন মুরাদপুর সড়ক, চকবাজার, বাদুড়তলা, মুরাদপুর-পাঁচলাইশ-মেহেদীবাগ সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক, পোর্ট কানেকটিং রোডসহ বেশিরভাগ সড়কেই সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ।
আবার ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এবড়োখেবড়ো হয়ে আছে অনেক সড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে এসব সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বুধবারের বৃষ্টিতেও এসব সড়ক দিয়ে রিকশা ও সিএনজি আটোরিকশার মতো ছোট যানবাহন চলাচলে বেগ পেতে দেখা গেছে। চকবাজার, ডিসি রোড, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহরসহ নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকার সড়ক বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে হাঁটু পর্যন্ত ডুবে যায়।
ষোলশহরের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক কামরুল হাসান জানান, সকালে কর্মস্থল আগ্রাবাদ যেতে গাড়ির জন্য ২ নম্বর গেটে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। সড়কের ওপর পানি ওঠায় গাড়ি কম ছিল। দুর্ভোগ ছিল চরমে। পতেঙ্গা আবহওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা যুগান্তরকে বলেন, বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ মে ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৫৫