স্পোর্টস ডেস্ক : কলম্বোর মাঠে ৩০০ বলে ২৪৫ রান তাড়ায় বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিল বাংলাদেশ। ১ উইকেটে ১০০ রান করে ছন্দে ছিল টাইগারা। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যেই ছন্দ পতন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মাত্র ২৫ বলের ব্যবধানে স্কোর বোর্ডে ৫ রান জমা করতেই বাংলাদেশ হারায় ৭ উইকেট।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এত কম রানে এর আগে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট হারায়নি কোনো দল। আগের রেকর্ড ছিল ৮ রান। ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে ২৩ থেকে ৩১—এই ৮ রানে যুক্তরাষ্ট্র হারায় দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট।
বুধবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। তার সেঞ্চুরিতে ২৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় লংকানরা।
দলের হয়ে একাই ১০৬ রান করেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা। এছাড়া কুশাল মেন্ডিস করেন ৪৫ রান। ২৯ রান করেন জেনিথ লিয়ানাগে। ২২ রান করে করেন মিলান রত্নায়েকে আর ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক শ্রীলংকা। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে তানজিম হাসান সাকিবের শিকারে পরিণত হন পাথুম নিশাঙ্কা।
এরপর শ্রীলংকা শিবিরে পরপর দুই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় আর সপ্তম ওভারের প্রথম বলে নিশান মাদুসশকা ও কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান তাসকিন।
৬.১ ওভারে দলীয় ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলংকা। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে কুশাল মেন্ডিসের সঙ্গে গড়েন ৬০ রানের জুটি। ৪৩ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কায় ৪৫ রান করে ফেরেন মেন্ডিস।
এরপর জেনিথ লিয়ানাগের সঙ্গে আসালাঙ্কা গড়েন ৭৬ বলে ৬৪ রানের জুটি। ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেটে মিলান রত্নায়েকে ও ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে ৩৯ ও ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলকে আড়াইশো রানের দোড় গোড়ায় নিয়ে যান অধিনায়ক।
পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হন আসালাঙ্কা। তার আগে ১২৩ বলে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে খেলেন ১০৬ রানের ইনিংস। এটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
কিউএনবি/আয়শা//০২ জুলাই ২০২৫,/রাত ১০:১৮