খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : মো. নাসির হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) বিরুদ্ধে। গত ১২ এপ্রিল বুধবার শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের কাছে এমন লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নাসির হাওলাদার। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আঙ্গারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের কোন সত্যতা নাই বলে দাবী করেছেন ওসি আক্তার হোসেন।
অভিযোগ কারী নাসির হাওলাদার বলেন, তিনি পালং মডেল থানাধীন চর কাশাভোগ এলাকায় পৈত্রিক নিবাসে বসবাস করেন। ইতোপূর্বে প্রতিবেশী মিজান সিকদার ও মুসা সরদার বাদি হয়ে নাসির হাওলাদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় আলাদা আলাদা দুইটি মামলা করে। আদালত উভয় পক্ষের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে নাসির হাওলাদারের পক্ষে আদেশ প্রদান করেন। গত ৪ এপ্রিল সেই জমিতে নাসির হাওলাদার বাড়ি নির্মান কাজ করে।
অভিযোগকারী আরো বলেন, পালং মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতাউর রহমান আমাকে আদালতের আদেশের কাগজপত্র সহ থানায় নিয়ে যায়। কাগজপত্র না দেখে আমাকে থানা গারদে ঢুকিয়ে রাখে। ৬ ঘন্টা অতিবাতিহ হওয়ার পরে আমাকে ওসির সামনে নিয়ে যায়। তখন ওসি আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে আমাকে আদালতে চালান করে দিবে বলে। কি অপরাধে আমাকে ধরে থানায় নেওয়া হয়েছে বার বার জিজ্ঞেস করেও কোন জবাব পাইনি। পরে ১০ হাজার টাকা দিয়ে এবং আরো ৫ হাজার টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করে সেখান থেকে ছাড়া পাই। পরের দিন থানায় গিয়ে সেই ৫ হাজার টাকা দিয়ে আসি।
তিনি আরো জানায়, কি অপরাধে আমাকে ধরে নেওয়া হয়েছিল তা জানতে আমি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। অপরাধ না থাকলে কেন আমাকে ৬ ঘন্টা গারদে রাখা হয়েছিল? টাকা পেলে কাগজপত্র দেখতে হয় না কেন? সেখানে নামাজের ব্যবস্থা চেয়েও কেন পাইনি তাই জানতে চেয়েছি লিখিত আবেদনে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আকতার হোসেন বলেন, নাসির হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি রাতের আধাঁরে মামলা-মোকদ্দমার জমিতে ঘর তুলতেছে প্রতিপক্ষের এমন অভিযোগ ছিল। প্রথমে পুলিশ পাঠিয়ে ঘর তুলতে নিষেধ করি। নাসির হাওলাদার পুনরায় সেই জমিতে কাজ শুরু করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়েছিল। তার কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়ার হয়নি। তার অভিযোগের জিরো পার্সেন্ট সত্যতা নাই।
কিউএনবি/অনিমা/১৪ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৫:৫৩