মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

মোবাইলে প্রেম করে বিয়ের পরই তালাক, স্ত্রীর যৌতুক মামলা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১২৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : মোবাইল ফোনে প্রেম করে বিয়ের চার মাসের মাথায় তালাক দেওয়ায় বরগুনায় নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দিয়েছেন স্ত্রী। তালাক দেওয়ার চার দিনের মাথায় তিনি এ মামলা দেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের ৮ নভেম্বর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে সজীব হোসেনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলা বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাওকাঠী গ্রামের শ্যামনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা ইসলামের বিয়ে হয়।

বিয়ের প্রায় চার মাসের মাথায় তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। গত ২ মার্চ সজীব হোসেন তার স্ত্রী মুক্তা ইসলামকে তালাক দেন। তাদের বিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় মুক্তা ইসলাম তার স্বামী সজীব হোসেনের বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ বিষয়ে স্বামী সজীব হোসেন বলেন, আমি সরকারি চাকরিজীবী। বরগুনা জেলা কারাগারের কারারক্ষী হিসেবে চাকরি করে আসছি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তা ইসলামের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়। পরে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর শুনতে পাই আমার স্ত্রী মুক্তা ইসলামের আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। তার পরও আমি সুন্দরভাবে সংসার করে আসছি। 

কিন্তু আমাদের বিয়ের চার মাসের ভেতরে আমি সংসারে কোনো শান্তি পাইনি। সারা দিন আমার স্ত্রী ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমাকে সে কোনো সময় দেয় না। পরে আমি আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে তালাক দিই। তালাকের চার দিনের মাথায় সে বরগুনার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা করেছে। আমি এ মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই। 

তিনি অভিযোগ করেন, এই মুক্তা ইসলামের কাজই হচ্ছে মিথ্যা ভালোবাসার জালে ফেলে নিরীহ ছেলেদের হয়রানি করে বিয়ে করা। আবার দুদিন পর ছেড়ে চলে যাওয়া। যার প্রমাণ আমি নিজেই। তা ছাড়া মুক্তা ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম নিজেও তার মেয়েকে নিয়ে বিপদে রয়েছেন। মুক্তা ইসলামের বাবা নিজেই বলেছেন— আমার মেয়ের এসব কুকীর্তির কারণে আমি তার পরিচয় দিচ্ছি না এবং ওর কোনো খোঁজখবরও আমি জানি না।

মুক্তা ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলামের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আর মুক্তা ইসলাম নামে আমার কোনো মেয়ে নেই— বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে মুক্তা ইসলাম বলেন, বিয়ের পর থেকেই সজীব হোসেন ঠিকমতো আমার কোনো খোঁজখবর নেইনি। তাই আমি তার বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দিয়েছি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৯ মার্চ ২০২৩,/বিকাল ৫:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit