ডেস্ক নিউজ :ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সামনের আসনে বসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে চেয়ার ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে অনুষ্ঠানই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোববার দুপুরে জেলার তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্য সুজন সরদার বলেন, আজ ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৪তম সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।
বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রভাষক আবু হাসিম খোকন ও আমার চেয়ারে স্থানীয় আব্দুল হালিম মণ্ডলকে বসতে না দেওয়ায় তার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আনিস ও তার চাচাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন এসে হঠাৎ ৫০টির মতো চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অনুষ্ঠানে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি। তাদের বসতে দেওয়ার পরেও অনুষ্ঠান চলাকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানাসহ ১০-১৫ জন হঠাৎ করে এসে চেয়ার ভাঙচুর চালিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।’
আবু হাসিম খোকন বলেন, ‘অনুষ্ঠান চলাকালে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সগুনা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আনিস মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কিছু চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল বলেন, ‘যদি কেউ অন্যায় করে, সে ছাত্রলীগের নেতা হোক আর যেই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তাড়াশ থানার এসআই রঞ্জু আহমেদ বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/০৫ মার্চ ২০২৩,/রাত ১০:০২