স্পোর্টস ডেস্ক : সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘোষণা করা হয়েছে ফিফার দ্য বেস্ট পুরস্কার। সেখানে সপ্তমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি। ৫২ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হয়েছেন মেসি। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে দ্বিতীয় ও ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন করিম বেনজেমা।
ফিফার এই বর্ষসেরা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচরা। বর্ষসেরার পুরস্কার পাওয়া লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে ভোটও দিয়েছেন সেরার নির্বাচনে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কোনো অধিনায়ক নিজেকে ভোট দিতে পারেন না। তাই কাকে ভোট দিলেন মেসি তা নিয়ে আগ্রহ থাকাটা স্বাভাবিক।বর্ষসেরা নির্বাচনে একজন অধিনায়ক ভোট দিতে পারেন তিনটি। প্রথম ভোটটি তবে মেসি কাকে দিয়েছেন?
সেরাদের সংক্ষিপ্ত তালিকার সেরা তিনে ছিলেন মেসির পিএসজি সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পেও। সতীর্থ ও সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীকে কি প্রথম ভোটটি দিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক? – না, অধিনায়ক হিসেবে মেসি প্রথম ভোটটি দিয়েছেন পিএসজিতেই তার আরেক সতীর্থ নেইমার জুনিয়রকে। বন্ধু ও সতীর্থ হিসেবে পিএসজিতে মেসির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ তো এই ব্রাজিলিয়ানই। সেরাদের তালিকায় নবম স্থানে শেষ করেছেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড। প্রথম ভোটটি না দিলেও দ্বিতীয় ভোটটি ঠিকই এমবাপ্পেকে দিয়েছেন মেসি। কাতার বিশ্বকাপে ৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতলেও ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারের বৈতরণী পার করতে পারেননি এমবাপ্পে।
এবারের আসরে সেরাদের তালিকায় ছিলেন না পর্তুগালের মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে পর্তুগালের অধিনায়ক হিসেবে সেরা বাছাইয়ের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল তার। তবে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও ভোট দেওয়ায় বিরত থেকেছেন ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ। তার বদলে ভোট দিয়েছেন সতীর্থ পেপে। কাতার বিশ্বকাপে একাদশে জায়গা হারানো রোনালদোর বদলে আর্মব্যান্ড ছিল পেপের হাতেই। পেপে অবশ্য সেরা হিসেবে মেসিকে কোনো ভোটই দেননি। তার প্রথম ভোটটি গেছে এমবাপ্পের বাক্সে। বাকি দুটি ভোট দিয়েছেন সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের দুই সতীর্থ লুকা মদ্রিচ ও করিম বেনজেমাকে।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:০৩