ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশে আগত পির-দরবেশরা ইসলাম প্রচার-প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখে হয়েছেন বাংলা-বাঙালির প্রিয়স্বজন। তাঁদেরই মসজিদ, মারকাজ, মাদরাসা, দরবার হতে তৈরি হয়েছেন অসংখ্য হাফেজ-মাওলানা। সাকিব আল হাসান বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেট তারকা, জাতীয় বীর। হিফজ অঙ্গনেও আছেন ময়মনসিংহের হাফেজ নাজমুস সাকিব। দেশের কওমি ঘরানার হাফেজ-মাওলানার কৃতিত্বের সম্মননার অনুষ্ঠান ‘দস্তারবন্দি’।
এটা এক বিশেষ পাগড়ি, যা যোগ্যতার স্বীকৃতি, সম্মাননা ও দ্বিনি গুরুদায়িত্বের প্রতীক হিসেবে প্রদান করা হয়। পাগড়ি প্রদানের জন্য ‘দস্তারবন্দি সম্মেলন’ বহু প্রাচীন ঐতিহ্য। আধ্যাত্মিক সাধনাসিদ্ধির পর শায়খের পক্ষ থেকে পাগড়ি-খিরকার প্রচলনও অনেক পুরনো রীতি।
পাগড়ি পরিধানের ঐতিহ্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখায় এসেছে, যেমন :
১. ‘…শির দেগা নেহি দেগা আমামা’।
২. ‘…বাঁধরে আমামা বাজিছে দমামা, শির উঁচু করি মুসলমান, দাওয়াত এসেছে নয়া যামানার, ভাঙা কেল্লায় উড়ে নিশান’।
৩. ‘…মোরা রণ চাই রণ চাই,
তবে বাজহ দামামা, বাঁধহ আমামা,
হাতিয়ার পাঞ্জায়’!
কিউএনবি/আয়শা/২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:৫৮