আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। রোববার তার দেশটিতে পৌঁছার কথা রয়েছে। তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে দুই প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে দুই দেশ মিলে ৪৬ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি তুরস্কের নাগরিক।
সরকারি সূত্রের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে— দেশটির অন্তত ১১টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিগত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ওই ভূমিকম্পে। ৮৪ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতির শিকার হয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ।
খবরে বলা হয়েছে, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন রোববার দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা প্রদেশের ইনসিরলিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর পর সেখান থেকে তিনি হেলিকপ্টারে করে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।
সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন। এ ছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুর্কি প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কে একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, কংক্রিট ভাঙার যন্ত্রপাতি এবং মানবিক সহায়তার জন্য দুই দেশ মিলে অতিরিক্ত সাড়ে ৮ কোটি ডলার অর্থায়ন করেছে ওয়াশিংটন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর সূচিতে থাকবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়টিও। গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করে নরডিক রাষ্ট্র দুটি। তবে সন্ত্রাসে দমন সংক্রান্ত ইস্যুতে দুই দেশের সদস্যপদ প্রাপ্তি আটকে দেয় তুরস্ক।
কিউএনবি/আয়শা/১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:২৫