সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

আদালতে হাজির হলেই অপমানের ভয়, থানায় অভিযোগ

খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৫৪ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : জমির মালিকানা নিয়ে শরীয়তপুর আদালতে মামলা করেছেন খন্দকার বাবুল মিয়া (৭৮)। আজ (১২ ফেব্রুয়ারী) রবিবার আদালতে সেই মামলার শুনানী। ইতোমধ্যে বিবাদী পক্ষ বাদী পক্ষদের আদালতে হাজির না হওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এমন অভিযোগে খুলনা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী খন্দকার বাবুল মিয়ার মেয়ে খন্দকার ফারজানা আক্তার।অভিযোগকারী তার অভিযোগে লিখেছেন, তিনি খুলনা সোনা ডাঙ্গা আবাসিক এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী। শরীয়তপুর আদালতের দেওয়ানী মামলা ১২/২০২৩ এর বাদী খন্দকার বাবুল মিয়া তার পিতা। সে খুলনায় বসবাস করেন। আজ আদালতে মামলা শুনানির ধার্য্য তারিখ। শুনানীতে আদালতে উপস্থিত হলে বিবাদীদের লালিত সন্ত্রাসী দিয়ে বাদী পক্ষদের অপমান অপদস্থ করার আশঙ্কা রয়েছে।

অভিযোগকারী খন্দকার ফারজানা আক্তার জানান, তার পিতার বয়স প্রায় ৮০ বছর। ইতোমধ্যে তিনি বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আছে। তার ওপর বিবাদীরা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রর্দশণ করে আসছে। এতে সে মামলা পরিচালানা করতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়েছে মামলা পরিচালনাসহ বিবাদমান জমি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব আমমোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে আমাকে দেওয়া হবে। এই সংবাদ জানতে পেরে গত ৭ ফেব্রুয়ারী বিবাদী রাজ্জাকসহ অন্যান্য বিবাদীরা বাদী খন্দকার বাবুল মিয়াকে খুলনার ময়লাপোতায় ডেকে নিয়ে হুমকি দিয়েছে। আমাকে আমমোক্তার নানা দলিল দিলে তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে দিবে। আদালতে হাজির হলে অপমান অপদস্থ করবে। এই ধরনের হুমকির রেকর্ডওসহ খুলনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

দেওয়ানী মামলার বাদী খন্দকার বাবুল মিয়া বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভার পালং মৌজায় আমাদের ৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ বিবাদী জিতু, রাকিব, শামীম, সাইদ, শুকুর ফারুক, রাজ্জাক, ফরিদ, জোর করে ভোগ দখল করছে। এখন তারা ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সেই জমি দলিল করে নিতে চায়। আমরা রাজী না হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখায়। বিবাদীদের ভালো মন্দ দুইটি রূপ রয়েছে। আদালতে হাজির হলে তাদের লালিত সন্ত্রাসী দিয়ে মন্দ রূপ আমাকে দেখাবে। তাই ভয়ে আছি।বিবাদী রাজ্জাক বলেন, তারা আমাদের আত্মীয়। ওয়ারিশ হিসেবে জমি পাবে। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে সেই জমি রাখতে চেয়েছি। সেই বাবদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকাও দিয়েছি। এখন অন্য লোকের পরামর্শে আমাদের কাছ জমি বিক্রি করতে রাজী না হয়ে আদালতে মামলা করেছে। খন্দকার বাবুল আমাদের সম্পর্কে ভাই হয়। সে আমাদের জমি না দিয়ে তার মেয়ের নামে পাওয়ার দিবে। পাওয়ার দেওয়ার পূর্বে আমাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে বলেছি। এর বাহিরে কিছুই হয়নি।

কিউএনবি/অনিমা/১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:৩৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit