শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

নিরাপদ বিনিয়োগের খাত স্বর্ণ: বাজুস প্রেসিডেন্ট

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : স্বর্ণ খাত বাংলাদেশে বিনিয়োগের নিরাপদ ক্ষেত্র উল্লেখ করে স্বর্ণ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।

গত ২০ বছরে স্বর্ণের দাম ১৫ গুণ বেড়েছে জানিয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বা সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ কিনলে খাঁটি স্বর্ণ কেনার পরামর্শ দেন বাজুস প্রেসিডেন্ট।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে ‘নারীর ঐতিহ্য, নারীর গহনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক কবি শাহনাজ মুন্নী। সঞ্চালনা করেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, অভিনেত্রী জোতিকা জ্যোতি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য তিলোত্তমা সিকদার।

বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়াল, বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাজুস প্যানেল ল’ইয়ার ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্স ভাইস-চেয়ারম্যান সোহানা রউফ চৌধুরীসহ বাজুস নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদসের নারী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, আমি বাজুস মেলাতে এসে আনন্দিত। দ্বিতীয় বারের মতো এ মেলা শুরু হওয়ায় সবাইকে শুভকামনা জানাই। এখানে একটি বিষয় বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে সেটা হলো—স্বর্ণের দাম বেশি, কিনতে গেলে দাম বেশি, বিক্রি করতে গেলে দাম কম।

সবাইকে বুঝে শুনে স্বর্ণ কেনার পরামর্শ দিয়ে বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি পিওর গোল্ড কেনেন তাহলে বিক্রির সময় দামে ব্যবধান হবে না। জুয়েলারি কেনার সময় দেখতে হবে কাঁচের টুকরো, মিনা বা ডায়মন্ড আছে কিনা। ভ্যালুয়েশন কিন্তু এভাবে হয়। সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ কিনলে পিওর গোল্ড কিনতে হবে। কাঁচের টুকরো সাথে নেবেন না। তাহলে বেচার সময় এই দুঃখটা থাকবে না।

সায়েম সোবহান আনভীর আরও বলেন, স্বর্ণের দাম আমরা নির্ধারণ করি না, আন্তর্জাতিক বাজারে নির্ধারণ হয়। সেটার আঙ্গিকে দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে ২০ বছর আগে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ছিল ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে ভরি ৯০ থেকে ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১৫ গুণ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সবাই যদি স্বর্ণকে সম্পদ হিসেবে চিন্তা করেন তাহলে আগামী ২০ বছরে কী হতে পারে? এখন ৯০ হাজার, ৯ লাখও হতে পারে এটা। এভাবে চিন্তা করতে হবে। শুধু দাম বাড়লো সেটা নিয়ে হতাশ। যারা আগে কিনেছেন তারা কত লাভবান হয়েছেন, সেটাতো কেউ চিন্তা করেননি। সেটা চিন্তা করেন।

বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, স্বর্ণ এবং ভূমিতে বিনিয়োগ পৃথিবীতে কখনো লোকসান হয়নি। যে বুদ্ধিমান, যার অলস অর্থ আছে… আপাতত বাংলাদেশে দুইটা জায়গা আছে নিরাপদ বিনিয়োগের। একটা হলো জমি, যা গত ২০ বছরেও দাম কমেনি। আর একটা হলো স্বর্ণ, এটাও গত ২০ বছরে দাম কমেনি। আমি আশা করি, আপনারা সবাই এই দুইটা মাধ্যমে থাকবেন।

মূল বক্তব্যে নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী বলেন, তিন হাজার বছর আগে থেকে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি ও ব্যবহার শুরু হয়। এরপর মোঘল আমল থেকে স্বর্ণালঙ্কারের সাথে দামি রত্নের ব্যবহার শুরু হয়। ১৮ শতক থেকে গহনার আধুনিক যুগ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশে সব সময় স্বর্ণালঙ্কারের চাহিদা ছিল। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে স্বর্ণের ভরি ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কালের বিবর্তনে স্বর্ণের দাম বেড়েছে বহুগুণ, সাথে পরিবর্তন এসেছে স্বর্ণালঙ্কারের ডিজাইনে। গহনা পছন্দ করে না এমন নারী খুঁজে পাওয়া যাবে না। আজকে যে বাজুসের ফেয়ার হচ্ছে, সেখানে নানা ধরনের গহনা এসেছে। আমি আশা করবো বাজুস ফেয়ার সাফল্য পাবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে তিন দিনব্যাপী বাজুস ফেয়ার-২০২৩ এর উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।

বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন দ্বিতীয় বাজুস ফেয়ার ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না।

বাজুস ফেয়ারে ক্রেতাদের জন্য র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা রয়েছে। ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলঙ্কার ক্রয় করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র‌্যাফেল ড্রর কুপন সংগ্রহ করবেন। জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছে। এবার বাজুস ফেয়ারে ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

কিউএনবি/অনিমা/০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit