ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারের রামুতে নিজেদের স্বত্ব দখলীয় বসতভিটার বাগানে পূর্বনির্ধারিত পারিবারিক পিকনিকের আয়োজন চলছিল। পিকনিককে ঘিরে শিশুরা কৌতুক, ধাঁধাসহ নাচেগানে আনন্দ-ফূর্তিতে মেতে উঠছিল।
এমন সময়ে অপ্রত্যাশিতভাবে রামু থানা পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাদের পিকনিক পণ্ড করে নারীদের হেনস্তা করে চার নারীকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর তাদের একটি সিসি ক্যামেরাবিহীন ঘরে নিয়ে গিয়ে তাদের নিপীড়ন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দেড়টায় উপজেলার ফতেখাঁরকূল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশি হয়রানি ও চার নারীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী ২০-২৫ নারী রামু উপজেলা চত্বরে প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদ অবস্থান করেন।
ভূক্তভোগী নারীরা জানান, আত্মীয়স্বজন সবাই একত্রিত হয়ে তাদের বসতভিটার বাগানে পারিবারিক শীতকালীন পিকনিকের আয়োজন করছিলেন। পিকনিকে রান্নাবান্না শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে হঠাৎ করে রামু থানার (তদন্ত) ওসি অরূপ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ পিকনিক স্থলে এসে বাধা দেয়। এ সময় ভুক্তভোগী নারীরা পিকনিকের খাওয়া-দাওয়া শেষ করার জন্য এক ঘণ্টা সময়ের আবেদন করলে পুলিশ এতে সায় দেয়নি।
উল্টো তাদের তাৎক্ষণিক স্থান ত্যাগ করতে বকাঝকা করতে থাকে। পুলিশের বাধাদানের কারণে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে অনেকটা টেনেহিঁচড়ে চার নারীকে পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এমনকি পিকনিকের রান্না করা তরকারির ডেচকিসহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ বেশ কয়েকজন নারীকে হেনস্তা-অপদস্ত ও গায়ে হাত তুলে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারীরা। তাদের অভিযোগ— স্বত্ব দখলীয় জমি দখলে নিতে স্থানীয়দের ইন্ধনে রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার স্বপ্রণোদিত হয়ে অন্যায়ভাবে চার নারীকে আটক করেছে।
এদিকে আটক ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরীর নির্দেশে সিসি ক্যামরাবিহীন একটি রুমে নিয়ে গিয়ে দুজন পুরুষ পুলিশ তাদের লাঠি দিয়ে শরীরের লজ্জা স্থানে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু মানুষ সেখানে জায়গা দখলের উদ্দেশে অবস্থান করছিল— এমন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং অশোভন আচরণের পাশাপাশি ইটপাকটেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে চার নারীকে আটক করে তাদের ৫৪ ধারায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
নারীদের যৌন হেনস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এবং থানায় কারও ওপর মারধর বা আঘাত করেনি।