শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ, এখনই নিয়ন্ত্রণ জরুরি স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী! চকবাজারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু দৌলতপুরে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত : আটক-১ মনিরামপুরে ফ্যাসিষ্ট মাদকবিক্রেতা সন্ত্রাসীরা কোন প্রকার ছাড় পাবেনা মনিরামপুরে শিক্ষককের ১৫ দিনব্যাপী আইসিটি প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় চৌগাছা পৌরসভায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি জুমার নামাজ পড়তে না পারলে করণীয় ‘গরুর মাংস খান রণবীর’, ভারতজুড়ে বির্তকে-সমালোচনার ঝড়

যে কারণে নারী ফুটবলারদের অভিমানে অবসর

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৬ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক : সাফজয়ী দলের সদস্যদের অবসর মিছিল বড় হতে পারে। এপ্রিলে অলিম্পিক বাছাইকে সামনে রেখে শুরু হওয়া ক্যাম্পে জায়গা হয়নি চার ফুটবলারের। ইতোমধ্যে দুজন অভিমানে নিয়েছেন অবসর। তবে কি বাকিরাও ধরবেন একই পথ! শঙ্কাটা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। তবু প্রশ্ন থেকে যায়, বাদ পড়লেই তো ফেরার পথ বন্ধ হচ্ছে না। তবে কেন এই অসময়ে অবসর?

সেটা জানতে ফিরে যেতে হবে অতীতে। এই অভিমান অবসরের আগে চোট ভর করেছিল নারী ফুটবল দলে। যাতে আক্রান্ত হয়ে দলে জায়গা হারিয়েছিলেন রুপা আক্তার ও মিসরাত জাহান মৌসুমীরা। সেই চোট সেরেছে বহু আগে। কিন্তু তাদের আর ফেরা হয়নি জাতীয় দলে। কারণ, নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি বলে। কিন্তু স্বরুপে ফেরার মিশনে নামার পথটাই যে বন্ধ। সম্প্রতি জাতীয় দলের দুই ফুটবলারের বিদায়ের ঘোষণাকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আনাড়ি, অভিমানী সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আবার তাদের ফেরার দরজা খোলা আছে, এই দাবিও করছেন। অথচ এই বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।

আন্তর্জাতিক সাফল্য নিয়মিত এলেও নারী ফুটবল পায়নি শক্ত ভিত্তি। ঘরোয়া অবকাঠামো বড্ড ভঙ্গুর। গেল কয়েক বছর নারী লিগ হচ্ছে নামকাওয়াস্তে। দীর্ঘদিন হয় না জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রমাণের ক্ষেত্র প্রস্তুত না রেখে বাফুফের জাতীয় দলে ফেরার দরজা খোলা রাখার দাবিটা তাই সাংঘর্ষিক।

বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ও নারী হ্যান্ডবল দলের কোচ ডালিয়া আক্তারের বলা কথাতে বেরিয়ে এসেছে ভেতরের দৈন্য রূপটা। ঠিক যেন উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট, ‘আমাদের দেশে মেয়েদের খেলাধুলা পুরোটাই জাতীয় দলনির্ভর। ঘরোয়া অবকাঠামো না থাকায় মেয়েরা অহরহ হারিয়ে যায়। একজন জাতীয় দলে সুযোগ না পেলে, পরবর্তীকালে কামব্যাক করার সুযোগ পেতে নিজেকে তো প্রমাণ দিতে হবে। সেই প্রমাণটাই কোথায় দেবে মেয়েরা? ফুটবল লিগ যেটা হয়, সেটা না হলেও কিছু যাবে আসবে না। একটি-দুটি দল জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়কে নিয়ে নিচ্ছে। ফলে অন্য বড় ক্লাবগুলো দল গঠনে আগ্রহ পাচ্ছে না। তাই ধরেবেঁধে অনামী কিছু দলকে নিয়ে হয় লিগ। ২০১৪ সালের পর হয়নি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। মেয়েরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। খেলা ছাড়ার পর কর্মসংস্থান কী হবে, অজানা।’

২০-২১ বছর বয়সেই মেয়েদের ফুটবলকে বিদায় জানানোকে অপরিণত সিদ্ধান্ত বলতেই পারে বাফুফে। তবে এই মেয়েদের হাত ধরেই বাফুফে বাহবা কুড়িয়ে নিয়েছে বহুবার। তাদের সাফল্যকে পুঁজি করে বাফুফের কর্তারা বারবার প্রশংসা পেয়েছে খোদ সরকারপ্রধানের। অনেকে আবার এই সাফল্য পুঁজি করে ফিফা-এএফসির পদ দখল করে নিচ্ছে। অথচ এই মেয়েরাই চোটে পড়লে অথবা ফর্ম হারালে, বাফুফে দায়দায়িত্বের কথা বেমালুম ভুলে যায়। অবহেলায় এভাবেই হারিয়ে যায় একটি খেলার অমিত সম্ভাবনা। যে কারণে বুকে চাপা অভিমানে তারা বিদায় জানায় ফুটবলকে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৫ জানুয়ারী ২০২৩/সকাল ১১:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit