স্পোর্টস ডেস্ক : ১৯৯৮ সালে যার হাত ধরে স্বপ্ন নিয়েছিল বাস্তবে রূপ। যে দলের অধিনায়ক ছিলেন দিদিয়ের দেশম, কিন্তু অনুঘটক, একজন জিনেদিন জিদান। শুধু ফাইনালে জোড়া গোলই নয়, টুর্নামেন্টজুড়ে যিনি ছড়িয়েছিলেন দ্যুতি। এরপর সময় পেরিয়েছে সঙ্গে বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়েছে দেশম-জিদানের। ফুটবল ক্যারিয়ারের পাট চুকিয়ে দুজনেই এখন পুরোদস্তুর পেশাদার কোচ। তবে জিজু রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব ছাড়ার পর এখন সাময়িক বিশ্রামে আছেন। জিদান ক্লাবের কোচিং আর দেশম ফরাসিদের দায়িত্ব নেয়ায়, ডাগআউট তাদের দাঁড় করেনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। কিন্তু নুয়েল লে গ্রায়েতের এক বেঁফাস মন্তব্যে যেন সব গুবলেট।
জিদানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যে আগেই ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ হারিয়েছেন নুয়েল লে গ্রায়েত। তবে এ নিয়ে এতদিন চুপই ছিলেন দিদিয়ের। অবশেষ পাওয়া গেল তার অভিব্যক্তিও। প্যারিসে একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের এই কোচ সাফ জানান, সাবেক সভাপতির এমন মন্তব্য অশোভন। ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের কোচ দিদিয়ের দেশম বলেন, ‘নুয়েল লে গ্রায়েতে জিদানকে নিয়ে যে কথা বলেছে তা বেমানান। তার মতো এমন একজনের কাছে এটা আশা করা যায় না। আমি মনে করি, জিদানের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি ভালো করেছেন।’
তবে ঘটনা এখানেই থামবে না বলে বিশ্বাস ফরাসিদের ‘কোচ আর ফুটবলার’ দুই ক্যাটাগরিতেই বিশ্বকাপ জেতানো দেশমের। জিজুর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন পরিস্থিতিতে, চ্যালেঞ্জ যে আরও বাড়বে সে জানা আছে তার। দেশম বলেন, ‘আমি মনে করি, এমন পরিস্থিতি আমি ও জিদানের মধ্যে একধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। তবে সবাইকে আমি বলতে চাই, জিদান ও আমি অনেক বছর একসঙ্গে খেলেছি। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক সম্মানের। তা ছাড়া ফরাসি ফুটবলে জিদানের অবদান কখনো ভোলার নয়। আমি এর বাইরে আর কিছু বলতে চাই না।’
তবে যাকে ঘিরে এত আলোচনা, সেই জিনেদিন জিদানের মুখ বন্ধ। গুঞ্জন আছে, ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে তিনি এগিয়ে আছেন অন্যদের চেয়ে। তবে শুধু জিজুই নয়, সে তালিকায় ওপরের দিকেই আছেন সদ্য বিদায়ী স্পেন জাতীয় দলের কোচ লুইস এনরিকেও।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ জানুয়ারী ২০২৩/দুপুর ২:১৮