মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় জামিন পাননি টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১২৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।

বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার তার জামিন আবেদন ফেরত দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ মুনতাকিম।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছে। আদালত জামিন না দিয়ে আবেদন ফেরত দিয়েছে।

এ মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তি  টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান এ আসনের বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।

দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। আদালতে এ দুইজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। 

আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে আছেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তরবর্তী জামিন বাতিল করা হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। 

গত ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দিয়ে রুল জারি করে। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়। 

এরপর টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন মুক্তি। গত ২৪ অক্টোবর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদনে করেন।

কিউএনবি/অনিমা/২৮ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:৪১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit