ডেস্ক নিউজ : চলতি বছর ফেব্রুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ১০ মাসে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি তেল বিক্রি করে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা লোকসান করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ। তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজেল বিক্রি করে বিপিসি এখনো প্রতি লিটারে ২-৩ টাকা লোকসান করছে। ডিজেল ছাড়া পেট্রোল ও অকটেন বিক্রিতে বিপিসি লাভ করছে। এ কারণে জ্বালানি তেলের দাম আপাতত কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান।
আজ মঙ্গলবার ভোলায় তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনায় রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিপিসি চেয়ারম্যান এসব তথ্য জানান।
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার থাকলে আমরা ব্রেক ইভেনে থাকি। কিন্তু এর বেশি হলেই আমাদের লোকসান হয়। গত নভেম্বর মাসে গড়ে ব্যারেলপ্রতি পরিশোধিত ডিজেলের দাম ১০৫ ডলার ছিল উল্লেখ করে বলেন, এখনও আমাদের প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত নভেম্বর মাসে বিপিসি অকটেন, পেট্রলসহ অন্যান্য তেল বিক্রি করে মুনাফা হয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। কিন্তু একই সময়ে ডিজেলে লোকসান হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে গত মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি করে মোট ৪৩ কোটি টাকা লোকসান করেছে বিপিসি।
তেলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনা নিয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নদীতে ভেসে থাকা তেল ঘিরে ফেলা হয়। একই সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে কিছু তেল উদ্ধার করা হয়। এতে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়েনি। বর্তমানে ট্যাংকারটির পেছনের অংশ ডুবে আছে। তবে ট্যাংকার থেকে কোনো তেল ছড়িয়ে পড়ছে না। ইতিমধ্যে উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা হয়েছে।
এ বি এম আজাদ বলেন, ভোলায় তেলের ট্যাংকারডুবিতে পরিবেশদূষণের কোনো শঙ্কা নেই। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে দুইটি কমিটি। ট্যাংকারে আনুমানিক ১০টি চেম্বার ছিল। এর মধ্যে একটি চেম্বার সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেখান থেকে কিছু তেল মেঘনায় ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিমাণ আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজার লিটারের বেশি নয়। এর মধ্যে আবার কিছু তেল স্থানীয়ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:৫৮