ডেস্ক নিউজ : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে পতেঙ্গা বন্দর পর্যন্ত বড় বড় পাইপলাইন করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে আগে তেল বড় জাহাজের মাধ্যমে আনা হতো। এরপর ছোট জাহাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এভাবে জাহাজের মাধ্যমে তেল আসতে ১২-১৪ দিন সময় লেগে যেতো।
তবে পাইপলাইনের মাধ্যমে খুব কম সময়েই আমরা এখন তেল সরবরাহ করতে পারব। দ্রুততার সাথে জ্বালানি তেল আনতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন হচ্ছে। ’আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এসও এলাকায় মেঘনা ডিপো পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জে তেলের ডিপোর জায়গাটা আমরা নিচ্ছি। এ জায়গা থেকে মেঘনা ও যমুনায় (তেলের ডিপো) ডেলিভারি যাবে। বিশেষ করে জাহাজে আমরা এ জায়গা থেকে ডেলিভারি দেব। এ কারণে আমরা এ জায়গাটা নিচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে এ জায়গাটা দেওয়ার ব্যাপারে। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী থেকে পতেঙ্গা এবং পতেঙ্গা থেকে মেঘনা ডিপোতে সরাসরি তেল আসবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রযুক্তি। আমরা পুরো প্রজেক্টটি বাংলাদেশের বিভিন্ন ঠিকাদার দিয়ে করাচ্ছি। এছাড়া বিমান বন্দরে ব্যবহৃত তেলও বর্তমানে গাড়ির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এটাও আমরা পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছি। এটি করতে পারলে ঢাকার ট্টাফিকের উপর চাপ কমবে। ’
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, গোদনাইল মেঘনা ডিপো ইনচার্জ লতিফুর রহমান, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, গোদনাইল মেঘনা ডিপো শাখার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৩৫