মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

সরিয়ে নেওয়া হতে পারে কিয়েভের বাসিন্দাদের

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে। এ কারণে বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন শহরের মেয়র।

বিবিসি জানিয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সঞ্চালন ব্যবস্থায় রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। শহরের অন্য আর একজন কর্মকর্তা সতর্ক করেছেন যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরো বন্ধ হয়ে গেলে পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন কাজও বন্ধ হয়ে যাবে।

ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় মেয়র ভিটালি ক্লিচকো রাশিয়ার কর্তৃক অবকাঠামো হামলাকে সন্ত্রাস ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

শীতকালে কিয়েভের গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যায় এবং রাতে তা আরও অনেক কমে যায়। মেয়র ক্লিচকো জানান, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ সবকিছু করছে। তবে তিনি নিশ্চিত করছেন যে ভিন্ন পরিস্থিতির জন্যও প্রস্তুতি রয়েছে।

কিয়েভের ৩০ লাখ বাসিন্দাদের শহরের আশেপাশে বসবাসকারী বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে থাকার আয়োজন করা উচিত যাদের এখনও পানি ও বিদ্যুৎ রয়েছে। যাতে করে কিয়েভের বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য তাদের একটি পরিকল্পনা থাকে বলে জানান মেয়র।

মেয়র বলেন, কর্তৃপক্ষ জ্বালানী, খাদ্য, পানি মজুদ করছে এবং বাসিন্দাদেরও তা করা উচিত। শহরজুড়ে কমপক্ষে এক হাজার আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে যেখানে মানুষজন জরুরি অবস্থায় উষ্ণতা পেতে সক্ষম হবে।

কিয়েভের বাসিন্দারা জানান, তারা জানেন যে বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে এবং জরুরি সরবরাহ দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠতে পারে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘ইউক্রেনীয়দের কোনো দরকার নেই। তার এলাকা দরকার, আমাদেরকে ছাড়া ইউক্রেনকে দরকার’, বলছিলেন সাবেক এই হেভিওয়েট বক্সার।

তিনি বলেন, তাই এখন যা কিছু ঘটছে (অবকাঠামোর ওপর হামলা) তা গণহত্যা। তার কাজ হল আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত করা, ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া বা আমাদের জায়গা জমি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যাতে তিনি সবকিছুর দখল নিতে পারেন।

এদিকে অধিকৃত খেরসনে রাশিয়া সমর্থিত কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ ও পানির ক্ষতির কথা জানিয়েছে। সেজন্যে তারা কাছাকাছি পাওয়ার লাইন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধে ইউক্রেনীয়দের ধর্মঘটকে দায়ী করেছে।

তারা বাসিন্দাদের ‘শান্ত থাকার’ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন দ্রুত পরিস্থিতির সমাধান করা হবে। তবে ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন।

কিউএনবি/অনিমা/০৭ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit