ডেস্ক নিউজ : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। এর সাথে বইছে দমকা হাওয়া। ভারি বর্ষণ ও কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃদ্ধির পাওয়ায় বরিশাল নগরীর অলিগলিতে হাঁটুপানি জমেছে। আশপাশের মাঠ, রাস্তা ও খালেও সমপরিমাণ পানি রয়েছে।
ফলে নগরীর বেশির ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে নগরীসহ জেলা-উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রাত ৮টা পর্যন্ত বরিশাল জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১১ হাজার মানুষ এবং তিন হাজার ৯৫৭টি গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভয়াবহ রূপ নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত ঘোষণা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ৪৫ নটিক্যাল মাইলে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় একটি ও ১০টি উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করা, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:৫৯