ডেস্ক নিউজ : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, বাঙালি জাতি আন্দোলন করে কখনো খালি হাতে ফেরেনি। তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও তারা খালি হাতে ফিরবে না। তামাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। সরকারের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসহ সকলকে যার যার অবস্থানে থেকে তামাকের বিরুদ্ধে সাধ্যানুযায়ী ভূমিকা রাখতে হবে।
আজ বুধবার সোনারগাঁও হোটেলে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার। তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যেই দেশকে তামাকমুক্ত করতে পারব। জাতির ভিতর তামাকবিরোধী ঝড় উঠেছে, এখন শুধু এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা ২৩ বছর সময় নিয়েছি মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করতে, বিজয় লাভ করেছি ৯ মাসে। কাজেই ধৈর্য ধারণ করে সঠিক কাজটি করে যেতে হবে। ‘
করোনার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা আমরা ব্যয় করেছি উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘অথচ করোনার চেয়ে ১৬ গুন অধিক মরণঘাতী ব্যাধি নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা অনেকেই উদাসীন। তামাকের কারণে সৃষ্ট ওই সকল মরণব্যাধি রোধে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। ‘মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ‘শুধু আইন করে দেশকে মাদকমুক্ত করা যাবে না, এর সাথে পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা ও নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ‘
এ সময় তামাকবিরোধী আইন পাশ হওয়া সময়ের ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন তিনি। সভায় বিশেষ অতিথি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণার ২৫ বছর সময়সীমার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো ‘রোডম্যাপ’ তৈরি হয়নি। ‘তিনি আরো বলেন, ‘উপরন্ত, তামাক কম্পানিতে সরকারের শেয়ার এবং সরকারের প্রতিনিধি রয়েছে, যা দেশকে তামাকমুক্ত করতে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। তামাকের পেছনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়তে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ‘
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এগুলো দূর করতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল আরো বাড়াতে হবে। তামাকের বিকল্প হিসেবে খেলাধুলার প্রসার ঘটাতে হবে। আমাদের দেশের ছাত্র সংগঠনগুলোকে তামাক-বিরোধী কার্যক্রম গ্রহণসহ ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। ‘মানস সভাপতি ড. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার, শিরীন আখতার ও বাসন্তী চাকমা, জাতীয় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান, অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, ফেরদৌস ওয়াহিদ, মানসের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার প্রমূখ।
কিউএনবি/আয়শা/১৯ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:১৮