সেন্টুল জেলা পুলিশের প্রধান এসিপি বেহ এং লাই বলেন, মালয়েশিয়ার সেরি কেম্বানগানের পরিত্যক্ত একটি বিল্ডিং থেকে শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় আমরা ওই বাংলাদেশিকে উদ্ধার করি। অপহরণকারীরা অপহৃতের মোবাইল ব্যবহার করে বাংলাদেশে পরিবারকে ফোন দেয়। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেয়া হলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। এরপর ভিকটিমের পরিবারের পক্ষে থানায় পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করলে সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।এ ঘটনায় গত সোমবার অপহরণচক্রের মূলহোতাসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ বাংলাদেশি ও স্থানীয় ৩ জন নাগরিকসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশ ৪৫ বছর বয়সী ওই ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।পুলিশ ধারণা করছে, গত ৭ অক্টোবর ওই পাঁচজন সন্দেহভাজন ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তারা বাংলাদেশে ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।এ ঘটনায় পুলিশ ছয়টি মোবাইল ফোন এবং একটি গাড়ি জব্দ করে। যা এই অপরাধে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, ২ বাংলাদেশিকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় তিন নাগরিককে পুলিশ জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং অপহরণের জন্য দণ্ডবিধির ৩৬২ ধারায় মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।একের পর এক অপহরণের ঘটনায় মালয়েশিয়ায় অনেক প্রবাসী কর্মীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কিউএনবি/অনিমা/১৪ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:২১