সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

ডোমারে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র আরিফ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেন সিআইডি

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ২২২ Time View

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে চাঞ্চলকর স্কুলছাত্র আরিফ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার আসামিসহ দুইজন গ্রেফতার হলে তাদের থেকে এমন তথ্য জানতে পারে সিইআইডি। গ্রেফতাররা হলেন কহিনুর (৪০) ও আলমগীর (৪০)। অটোরিক্সা ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ায় আরিফকে তারা হত্যা করেন বলে সিআিইডিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।

তিনি বলেন, ডোমারে বাবার অটোরিকশা নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে বের হন আরিফ। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের সাত দিন পর ডোমারের বড় রাউতা মাঝাপাড়া এলাকার একটি অব্যবহৃত গভীর নলকূপের ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নিহত আরিফ ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে আজাদ রহমান জানান, ডোমার সরকারী কলেজ গেটের পাশে মাদ্রাসা মোড় থেকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা এলাকায় যাওয়ার জন্য ১৫০ টাকা ভাড়ায় যাত্রীবেশে আরিফের অটোরিকশায় ওঠেন তারা। বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে দোলাবাড়ী নামে একটি নির্জন স্থানে যাওয়ার পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে আরিফকে অটোরিকশাটি থামাতে বলে।

তখন অটোতে থাকা কহিনুর ও তার সহযোগী আরিফকে জোরপূর্বক অটোরিকশা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে অটোটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আরিফ বাঁধা দিলে তাকে মারধর করতে থাকে ঘাতকরা। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ধারালো ছুরি/চাকু দিয়ে তার গলায় আঘাত করে হত্যা করে মরদেহটি পাশের অব্যবহৃত গভীর নলকূপের ঘরে মরিচের শুকনা গাছ দিয়ে ঢেকে রেখে অটো নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে বন্ধু আলমগীরের সহযোগিতায় ৪৫ হাজার টাকায় অটোটি বিক্রি করে রুবেল। সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার কহিনুর ইসলাম ওরফে রুবেলের বিরুদ্ধে ডোমার থানার একটি চুরি মামলায় বিজ্ঞ আদালত দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।

অন্যদিকে আলমগীর হোসেন ওরফে আলমের বিরুদ্ধে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন থানায় দস্যুতা ও চুরির ছয়টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন কহিনুর (৪০) ও আলমগীর (৪০)। অটোরিকশা ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ায় আরিফকে তারা হত্যা করেন বলে সিআিইডিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পঠানো হয়।

কিউএনবি/অনিমা/০৪.১০.২০২২/সন্ধ্যা ৬.০৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit