সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় দু-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না, ভোগান্তিতে মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় এখন দিনরাতে দু-তিন ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিং হচ্ছে। আর জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও গড়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিংয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ১৯ জুলাই থেকে দিনে এক ঘণ্টা লোড শেডিংয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। সে সময় এই সংকট সেপ্টেম্বর থেকে কেটে যাবে বলে আশাবাদও জানানো হয়েছিল।

গত মাসেও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ঘোষণা দিয়েছিলেন সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে লোড শেডিং থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস ও তেলের সংকটের কারণে চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে লোড শেডিং আবার বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনের বেলা ১৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৪৩ মেগাওয়াট। লোড শেডিং ছিল এক হাজার ২৫৭ মেগাওয়াট। রাতের বেলা চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের ঘাটতি আরো বাড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্যাসের সংকটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে পুরোপুরিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে ডিজেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোও পুরোপুরি চালানো যাচ্ছে না, যার কারণে চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি বাড়ছে। ’ পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা প্রায় তিন হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। স্বাভাবিক সময়ে স্পট মার্কেট এলএনজিসহ গড়ে দৈনিক তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। স্পট এলএনজি বন্ধ থাকায় এখন দুই হাজার ৭৫০ থেকে দুই হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ঘাটতি থাকছে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস, যার প্রভাব পড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

রাজধানীর আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ রাজধানীর একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)। ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাওসার আমীর আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আবারও আমাদের দিনে ও রাতে লোড শেডিং বাড়াতে হচ্ছে। রাত ১১টার পর বেশি লোড শেডিং দিতে হয়, কিছু এলাকায়  প্রায় এক ঘণ্টা করে দু-তিনবারও লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। কারণ আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের বরাদ্দ পাচ্ছি না। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে আমাদের চাহিদা ছিল এক হাজার ১৪৮ মেগাওয়াট, আমরা সরবরাহ করতে পেরেছি এক হাজার ৯ মেগাওয়াট। এই সময় আমাদের ঘাটতি ছিল ১৩৯ মেগাওয়াট। ’

গৃহিণী ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় আমাদের বাসায় এখন দিনে দু-তিন ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না। এখন দিনের চেয়ে রাতেই বেশি লোড শেডিং হচ্ছে। এতে এই গরমে কষ্টে আছি। ’সবচেয়ে বেশি লোড শেডিং হচ্ছে দেশের বৃহত্তর বিতরণ কোম্পানি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) বিতরণ এলাকায়। আরইবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিদ্যুতের বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণেই লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। আজ (গতকাল) বিকেলের দিকে আরইবির বিতরণ এলাকায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ছয় হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে বিতরণ করা হয় ছয় হাজার ১২২ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ৬৭৮ মেগাওয়াট। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ছিল ঢাকায় ৩১২ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহে ১৪৩ মেগাওয়াট। ’ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা মিনুয়ারা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন রাত ও দিন মিলিয়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না। যখন চলে যায় তখন দেড়-দুই ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ আসে না। ’

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১১:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit