ডেস্ক নিউজ : ড. কামাল হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে গণফোরামের একাংশ। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু একথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা সর্বসম্মতিক্রমে ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্যপদসহ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্টু বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে যে ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অগণতান্ত্রিক। আমরা কখনো ইচ্ছা করলে বা আমি অথবা আমার সাধারণ সম্পাদক বা কেন্দ্রীয় কমিটি আমরা বসে একটা কমিটি উপহার দিতে পারি না। এটার সম্পূর্ণ এখতিয়ার থাকে কাউন্সিলরদের কাছে। কিন্তু কাউন্সিলরদের ইগনোর করে আমরা পর পর দুইটা, একটা রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে কাউন্সিল হয়েছিল এক বছরের জন্য। পরবর্তি পর্যায়ে মোকাব্বির খানকে সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আওম শফিকউল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে একটা কমিটি ঘোষণা করা হলো। আবার গত ১৭ তারিখ সংবাদ সম্মেলন করে ড. কামাল হোসেন নিজে সভাপতি হয়েছেন এবং মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এসব স্ববিরোধী ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ। আমি বলছি একথা, করছি আরকেটা। দলের সিনিয়র নেতারা যখন এসব কাজ করেন সাধারণ কর্মীরা হতাশ হয়, জনগণ হতাশ হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি ড. কামাল হোসেনকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গণে উনার যে বিচরণগুলো হচ্ছে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। গণফোরাম কি জাতীয় পার্টির মতো বিভক্ত কিনা প্রশ্ন করা হলে মন্টু বলেন, গণফোরাম এক ও অভিন্ন। এই দলের জন্ম হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্টে। সাইফুদ্দিন মানিক, আমীরুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, শাহজাহান সিরাজসহ অনেক জাতীয় নেতার সমন্বয়ে এই দল গঠিত হয়েছিল। দলের একটা নীতি থাকে। দল আমরা ১০টা ভাগ করতে পারি। কিন্তু কর্মী ভিত্তিক যে সংগঠন, মাঠ-পর্যায়ের নেতাকর্মী সম্পৃক্ত যে দলের কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে হবে সেটাই আসল কমিটি হবে। এখন সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের কমিটি নয়। মাঠ পর্যায়ের মানুষের কাছে যে গণফোরাম অঙ্গীকারবদ্ধ, আমরা গণফোরামের নীতি আদর্শ বাদ দিয়ে কোনো আপস করতে রাজি নই।
সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্ত পড়ে শুনান প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, আইয়ুব খান ফারুক, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, খান সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল বারী হামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী, কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, নাসির হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/আয়শা/২০ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৪৩