ডেস্ক নিউজ : দুঃখ-কষ্ট পিছু ছাড়ছে না বৃদ্ধ শামসুদ্দীনের। অনেক কষ্ট করে ২ ছেলেকে বড় করেছেন তিনি। উপার্জনও করছেন তারা। এখন ইবাদত-বন্দেগি করে সময় কাটানোর কথা শামসুদ্দীনের। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। একসঙ্গে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দুই ছেলে।
এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় কাভার্ডভ্যানচাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৪ জন। এদের মধ্যে শামসুদ্দীনের ছেলে মো. সুমন ও শেখ ফরিদও রয়েছেন। দুই ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধ শামসুদ্দীন। তার আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। ২ ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নূরজাহান।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা বলেন, এভাবে বুক খালি করে দুই ছেলে চলে যাবে কখনো চিন্তাও করতে পারিনি। আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচব। ছোট ছোট নাতি-নাতনিদের কী হবে? নুরুল মোস্তফা নামের স্থানীয় একজন বলেন, সুমন-ফরিদ একসঙ্গে চলাচল করত। এলাকার কারো সঙ্গে কোনো দিন দুকথা হয়নি তাদের। ২ ভাইকে একসঙ্গে খৎনা করা হয়, বিয়েও হয় একসঙ্গে। একসঙ্গে তারা মারাও গেল। এভাবে চলে যাবে কখনো ভাবতে পারিনি।
বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ের সোনাপাহাড় ফিলিং স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর একটি লরিকে চট্টগ্রামগামী জোনাকি পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে সেখানে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সঙ্গে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় সিএনজিচালকরাও ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ডভ্যান দাঁড়িয়ে থাকা সবাইকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যান।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিনের কাছে আহতদের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই দুর্ঘটনায় আহত এএসআই মোস্তফার অবস্থা এখন অনেকটা আশঙ্কামুক্ত। আহতের আত্মীয়স্বজনরা নিজেদের নিকটবর্তী কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া অন্য আহতরাও এখন শঙ্কামুক্ত।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:০০