ডেস্ক নিউজ : মিথ্যা মামলা ও সাক্ষী দিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এখন নিজেরাই আসামি হয়েছেন।শুল্ক পরিশোধের কাগজ থাকার পরও এক কিশোরকে আসামি করে স্বর্ণ চোরাচালানের মিথ্যা মামলা করা ও আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের এক বিচারক।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন পতেঙ্গা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন। মামলায় শুল্ক না দিয়ে দুটি স্বর্ণের বার পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে এসআই সুবীর পাল ওই বছর অক্টোবরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) ফেরদৌস আরার আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন। মামলার বিচারে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্যও দেন।চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিচারক ফেরদৌস আরা মামলাটি খারিজ করে দিয়ে বলেন, শুল্ক পরিশোধের কাগজ থাকার পরও মিথ্যা মামলা করেছিল পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষ্যও ছিল মিথ্যা।
পরে বিচারক ফেরদৌস আরা মঙ্গলবার নিজে বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করেন। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল রাত পৌনে ১০টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন বাটারফ্লাই পার্কের সামনে তল্লাশি চৌকি থেকে দুটি স্বর্ণের বারসহ শিশুটিকে আটক করা হয়। শিশুটির মা কুমিল্লার বাসিন্দা নারগিস আক্তার জানান, তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে সেদিন পতেঙ্গায় বেড়াতে গিয়েছিল। তার চাচা বাহারাইন থেকে তাদের প্রতিবেশী এএইচএম সুমনের মাধ্যমে কিছু জিনিসপত্র পাঠায়। বিদেশ থেকে চাচার ফোন পেয়ে তার ছেলে সেদিন বিমানবন্দরে গিয়েছিল। তখন সুমন তাকে একটি প্যাকেট দেয়। সেটি নিয়ে ফেরার পথে তার ছেলেকে আটক করে পুলিশ পতেঙ্গা থানায় নিয়ে যায়।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:৫৫