বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সমাধান করা অন্যান্য অনেক সমস্যার মতোই তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তিসহ সকল অমীমাংসিত সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। দুটি দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সমাধান করেছে এবং আমরা অবিলম্বে তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করাসহ সকল অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান আশা করছি। ’দুই দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ ৫৪টি অভিন্ন নদ-নদীর পানিবণ্টনের মতো সব সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি। আগামী দিনগুলোতে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমরা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আলোচনার সময় তারা অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায়গুলো সম্পর্কে এবং পারস্পরিক কল্যাণের লক্ষ্যে একে অপরের অগ্রাধিকারগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘সংযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, সীমানা এবং লাইন অব ক্রেডিট সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব তৈরি করে উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থে ক্রমবর্ধমান ব্যাপক বিষয়ে কাজ করছে। ’

তিনি বলেন, ‘আমি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং আমাদের দুই দেশে ও এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি। বাংলাদেশ ও ভারত যদি অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তাহলে এটি শুধু দেশগুলোর জন্যই নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৫৪টি অভিন্ন নদী এবং চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত বেষ্টিত বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত কল্যাণে বদ্ধপরিকর।  আজ দিনের শেষভাগে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করব। ’

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সৈনিক/কর্মকর্তাদের সরাসরি বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান করব। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা, দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতায় জোরদার হয়েছে। ”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিকতর গতি সঞ্চার করে চলেছে বলে উল্লেখ করেন।  

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit