রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

নির্বাচিত হলে এক সপ্তাহের মধ্যে…: লিজ ট্রাস

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১০ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিরোধিতার মুখে পদত্যাগ করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই সঙ্গে এগিয়ে আসছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার সময়। সোমবার নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস (৪৭) অথবা সেই দলের সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক (৪২)– এই দুইজনের মধ্যে একজন বসবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আসনে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস রোববার বলেছেন, তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি বিল মোকাবেলা এবং সরবরাহ বাড়ানোর জন্য তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন এই ঘোষণার প্রাক্কালে সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক নিবন্ধে লিজ ট্রাস মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার কবলে জর্জরিত ব্রিটেনের অর্থনীতি মোকাবেলায় সাহসী হওয়ার অঙ্গীকার পুনরাবৃত্তি করেছেন। 

প্রসঙ্গত, লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা বরিস জনসন গত ৭ জুলাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন। তার পদত্যাগের পর শুরু হয় দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। যুক্তরাজ্যের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি তার মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই ক্ষমতাচ্যুত হন, সেক্ষেত্রে সরকারি দলের আগ্রহী প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এগিয়ে যান।  ক্ষমতাসীন দলের অন্তত দুই জন আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে— এমন যে কোনো পার্লামেন্ট সদস্য বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন।

নতুন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের তারপর যেতে হয় বেশ কয়েক দফা ভোটে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সের সরকারি দলের আইনপ্রণেতারা গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন। সেসব ভোটের ফলাফলের গড় হিসাব করে যে প্রার্থী সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তার প্রার্থিতা বাতিল হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রার্থীর সংখ্যা ২ জনে এসে না ঠেকছে ততক্ষণ চলতেই থাকবে এই ভোট। শীর্ষ দুই প্রার্থী চুড়ান্ত হওয়ার পর তারা সমর্থন চাইবেন পার্লামেন্টের বাইরে সরকারি দলের যত সদস্য রয়েছেন তাদের। যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি সমর্থন লাভ করবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও এভাবেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র পদত্যাগের পর দলের এমপি ও সদস্যদের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন জনসন। সরকারি দলের আইন প্রণেতাদের ভোটে একটি বড় সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন তিন জন— ঋষি সুনাক, লিজ ট্রাস এবং বর্তমান সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডাউন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত  মরডাউন্ট এই দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন, টিকে থাকেন ট্রাস ও সুনাক।

নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে উভয়ই ভোটারদের একাধিখ আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লিজ ট্রাস বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে যুক্তরাজ্য থেকে লিঙ্গ বৈষম্য নির্মূল, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, কর ব্যবস্থার সংস্কার ও জনগণের জীবনমান বৃদ্ধির দিকে মনযোগী হবেন। অন্যদিকে ঋষি সুনাক প্রাধান্য দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব দূর করা ও জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর।

যদিও শেষ পর্যন্ত লিজ ট্রাসও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার দিকেই নজর দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটপর্ব শেষ হয়েছে বেশ আগেই; এবং চুড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে— সুনাক ১৩৭ ভোট পেয়েছেন, ট্রাস পেয়েছেন ১১৩ ভোট। পার্লামেন্টের বাইরে সরকারি দলের যেসব ভোটার আছেন, তাদের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। এই ভোটারদের মোট সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit