বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন না করা হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত। শনিবার দুপুরে সংগঠনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার পুনশ্চ কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। সংখ্যালঘুরা পাকিস্থান আমলে যে অবস্থায় ছিলো দেশ স্বাধীনের পরও একই অবস্থায় আছে বলে এ সময় উল্লেখ করা হয়। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রানাদাশ গুপ্ত বলেন, ‘পাকিস্থান আমলে রাষ্ট্র আমাদেরকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করেছে। সংখ্যালঘু হিসেবে থাকার জন্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সমঅধিকার নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় দাবি করে ছিলাম। সেই দাবিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আড়াই লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর সারাদেশে একই দাবিতে সকাল সন্ধ্যা গণঅনশন পালন করা হবে। ৯ ডিসেম্বর একই দাবিতে সারাদেশ থেকে রোডমার্চ ঢাকার দিকে এগিয়ে যাবে। পরে ১০ ডিসেম্বর সকল রোড মার্চ জাতীয় শহীদ মিনার একত্র হয়ে সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগিয়ে যাব। তারপরে ফেব্রুয়ারি মাসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবশে করবো। এর পরেও যদি দাবি মানা না হয় তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশন পালন করা হবে।’
ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুদকার বলেন, ‘আমাদের যে অপবাদ রয়েছে যে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়, প্রতিমা ভাংচুর হয়, জমি লুটপাট হয় এতে নাকি আমাদের সরকারের দলের অনেকে জড়িত থাকে। এটা খুবই দু:খজনক। তাই সংকটপূর্ণ মুহুর্তে শেখ হাসিনা সরকারের, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের লোকদের ভূমিকা গঠনমুলক হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
কিউএনবি/আয়শা/২৮ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:১৪